জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে এক রাতে গভীর নলকূপের ৪টি বৈদ্যুতিক মিটার চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোরেরা মিটার গুলো খুলে নিয়ে সেখানে একটি চিরকুটে বিকাশ মোবাইল নম্বর রেখে যায়। ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে মিটার ফিরে পেতে টাকা দাবি করে চোরেরা। ফোন নম্বর দেওয়া থাকলেও চোরেরা থাকে ধরা ছোঁয়ার বাইরে, এমনটি জানান স্থানীয়রা।
ঘটনাটি আজ (৬ ডিসেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নে ঘটেছে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে গভীর নলকূপের মালিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আজ (৬ ডিসেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নের গুডুম্বা গ্রামের আবু কালামের একটি, নারিকেলী ফসলী মাঠের গভীর নলকূপ, মুনজিয়া গ্রামের মতিউর রহমানের একটি, পুন্ডুরিয়া গ্রামের মজিবর রহমান ওরফে লুলু’র একটি এবং একই গ্রামের স্বপন মন্ডলের গভীর নলকূপের বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা। সকল মিটার গুলো চুরির পর সেখানে একটি কাগজের চিরকুটে ০১৭৭৯-৭৮৭১১৩ নম্বর লিখে রেখে যায় চোর চক্রের সদস্যরা। প্রতিটি মিটারে তারা আলাদা আলাদা সিরিয়াল নম্বরও লিখে রেখে যায় তারা। পরে নলকূপ মালিকরা ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা দাবি করে তারা। অন্যথায় আবারও মিটার চুরি করা হবে বলে হুমকিও দেয় তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইতি পূর্বেও এই উপজেলায় একই কায়দায় বেশ কিছু গভীর নলকূপের মিটার চুরির ঘটনা ঘটে। এসকল ঘটনায় থানায় বেশ কিছু অভিযোগও হয়েছে। অধিকাংশ ঘটনায় এ সকল চোরেরা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আক্কেলপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম মোহা. আব্দুর রহমান জানান, গত রাতে উপজেলায় ৪টি মিটার চুরির খবর পেয়েছি। প্রতিটি চুরির ঘটনায় আমরা থানায় মামলা দায়ের করি। এঘটনায়ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চুরি রোধে গ্রাহকদের সচেতন করা হচ্ছে।
রায়কালী ইউনিয়নের গুডুম্বা গ্রামের গভীর নলকূপের মালিক আবু কালাম বলেন, নলকূপের ঘরে দুইজন নৈশ প্রহরী ছিল। গভীর রাতে ঘরের দরজা বাহির থেকে আটকিয়ে বৈদ্যুতিক খুটি থেকে মিটার খুলে নিয়ে যায় চোরেরা। সেখানে একটি চিরকুটে বিকাশ মোবাইল নম্বর লিখে রেখে যায়। ওই নম্বরে ফোন করলে চোরেরা বলে ২০ টাকা দাবি করে, না হলে আবারও মিটার চুরি করা হবে। আমরা ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছি তাছাড়া মাঠে আলু আছে আলুতে সেচ দিতে হবে।
গভীর নলকূপের আরেক অংশীদার গোলাম রসুল বলেন, বার বার মিটার চুরি হওয়াতে ফসল এবং কৃষকের ব্যপক ক্ষতি হচ্ছে। এটা রোধ করতে গভীর নলকূপের ঘরের ভিতরে মিটার স্থাপন করলে অনেকাংশে মিটার চুরি রোধ করা সম্ভব। এ ঘটনায় আমরা চোরেদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছি।
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মইনুল ইসলাম বলেন, সকালেই আমরা মিটার চুরির খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। তবে আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করছি।