সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, আমরা ৩নং ওয়ার্ডের সাধারণ জনগণ, অসহায় দরিদ্র খেঁটে খাওয়া মানুষের পক্ষ থেকে আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। টিসিবি কার্ডের মাধ্যমে প্রতিমাসে একবার করে সয়াবিন তেল, মশুর ডাউল ও ৫ কেজি চাউল সারাদেশের মত আমরাও কার্ডের মাধ্যমে নিয়মিত পেয়ে আসছি। তৎকালিন ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিস কর্তৃক আমাদের পরিবারের নামে টিসিবির কার্ড পায়।
গত নভেম্বর মাসে আমরা টিসিবি কার্ড নিয়ে বরাদ্দকৃত নিত্যপন্য নেওয়ার সময় স্থানীয় বিএনপি নেতারা আমাদেরকে বলেন যে, এই কার্ড বাতিল করা হয়েছে এই কার্ডে এখন থেকে আর টিসিবির মাল পাওয়া যাবেনা। নতুন করে কার্ড করতে হবে। সবাই নিজ নিজ কার্ড জমা দেন।
যারা কার্ড জমা দেয়নি তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিএনপি নেতা সেন্টু, ৩নং ওয়ার্ডের জামায়াতের আমীর মনিরুজ্জামান এবং ৩নং ওয়ার্ডের বিএনপি অন্যান্য নেতাকর্মীরা হুকমি ধামকি দিয়ে জোড়পূর্বক অনেকের কাছ থেকে টিসিবির কার্ড নিয়ে নেয়।
আমরা তাদের কাছে কার্ড না দিয়ে ওয়ার্ড সচিবের সাথে যোগাযোগ করতে গেলে জানতে পারি ওয়ার্ড সচিবকে ৩নং ওয়ার্ড থেকে বদলি করা হয়েছে। আমরা খবরের য়াধ্যমে দেখতে পাই যে, রাজশাহী মহানগর বিএনপি'র সদস্য তাজউদ্দীন সেন্টু কাউন্সিলর কার্যালয়ের সামনে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে বলছে যে, আমরা বিএনপি-জামায়াত ইসলামী দলের কর্মীর মিলে সমন্বয়ক তৈরি করে কমিটি করেছি। পূর্বে টিসিবির কার্ড ও সকল সুবিধা তাদের মত বিতরণ করা হয়েছে। আজ থেকে অতীতের সব কার্ড বাতিল।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ভুক্তভোগীরা জানতে চেয়েছেন 'সরকারকর্তৃক বরাদ্দকৃত টিসিবি কার্ড এভাবে বাতিল করা যায় কিনা' ? ভুক্তভোগীরা বলেন, গণমাধ্যমের মাধ্যমে অর্ন্তবর্তী সরকারের কাছে আবেদন, আমাদের নামে বরাদ্দকৃত কার্ডের মাধ্যমে যেন আমরা মাসে একবার করে টিসিবি পণ্য পাই।