ছবিঃ সংবাদ সারাবেলা
কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়কে তীব্র যানজটে চরম ভোগান্তিতে পর্যটকসহ স্থানীয়রা। যার ফলে প্রতিদিনই যানজটের মুখে পড়ে ছাত্র থেকে শুরু করে চাকরিজীবীদের ঘন্টার পর ঘন্টা সময় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। লাইসেন্সবিহীন টমটম, অবৈধ মিশুক গাড়ী, অটো রিকশার ছড়াছড়ি, অদক্ষ ড্রাইভার এবং বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতির সংখ্যা কম। এসব কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা।
কক্সবাজার সরকারি কলেজের ছাত্র শুভ দাশ বলেন, কলেজে গিয়ে গোলদিঘীর পাড় বাসায় ফিরতে দুই ঘন্টা সময় লেগেছে। এমন যানজট কখনো দেখেননি। প্রধান সড়কে এক স্থানে অন্তত ১ ঘন্টা টমটমের উপর বসে থাকতে হয়েছে। টমটম চালক যানজট এড়িয়ে বিভিন্ন গলি দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও পারেনি। সবখানেই যানজট লেগেই আছে।
শহরের বার্মিজ মার্কেট এলাকার সবুজ আলম বলেন, ছোট্ট এই শহরে চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত টমটম। রয়েছে অবৈধ মিশুক গাড়ী, অটোরিকশাও। তার সাথে যোগ হয়েছে সিএনজি, মাহিন্দ্রাসহ বিভিন্ন প্রকার যানবাহনের চলাচলের সংখ্যা। ফলে যানজটের মাত্রা তীব্র আকার ধারণ করেছে।
তিনি আরো বলেন, অটোরিকশা, মিশুক গাড়ী আর টমটমের কারণে শহরে পা ফেলা অনেকটা দুষ্কর হয়ে পড়েছে। শহরের লালদিঘীর পাড় থেকে বার্মিজ মার্কেট পর্যন্ত এক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে ২/৩ ঘণ্টা সময় লেগে যায়।
যানজট, লাইসেন্সবিহীন টমটম ও অবৈধ মিশুকের বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার পৌরসভার প্রশাসক (উপ- পরিচালক, স্থানীয় সরকার) রফিকুল হক মিটিংয়ে রয়েছে পরে কথা বলবে বলে ফোন রেখে দেন।
এনিয়ে কক্সবাজার ট্রাফিক পুলিশের প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন জানান, রাস্তার শৃঙ্খলা ফিরানোর দায়িত্ব আমাদের। আমরা যথাসাধ্য কাজ করে যাচ্ছি রাস্তার যানজট নিরসনের। তবে শহরে অতিরিক্ত লাইসেন্সবিহীন টমটম, অবৈধ মিশুক গাড়ী ও রাস্তার চারপাশে গাড়ী পার্কিংয়ের কারণে এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। পৌরসভা এ-সব অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে জোরালো ভূমিকা পালন করলে দ্রুত যানজট নিরসন হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh