ভারত থেকে আসা পণ্য পরিবহণ জটিলতা ও ভারতের অভ্যন্তরে স্থানীয় বিক্ষোভের কারণে সিলেটের তিনটি স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশনে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। আজ (৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে শেওলা স্থলবন্দর ও জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশন দিয়ে কোনো পণ্য আমদানি বা রপ্তানি হয়নি।
এদিকে তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে পাথরবাহী ট্রাকে মাটি ও আবর্জনার সমস্যা এবং ওজন পরিমাপে জটিলতার কারণে ১৬ দিন ধরে পাথর ও কয়লা আমদানি বন্ধ রয়েছে। তবে পাথর আমদানি বন্ধ থাকলেও অন্য পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে।
জানা গেছে, গত রোববার বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে এবং ইসকনের বহিষ্কৃত নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারের প্রতিবাদে ভারতের করিমগঞ্জ জেলার সুতারকান্দি শুল্ক স্টেশনে বিক্ষোভ হয়। সনাতনী ঐক্য মঞ্চের ব্যানারে আয়োজিত এই বিক্ষোভের কারণে শেওলা স্থলবন্দরের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে।
এদিকে, জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশনে ভারতীয় বিক্ষোভের ফলে সোমবার থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এছাড়া তামাবিল স্থলবন্দরে পাথর আমদানি বন্ধ থাকায় উভয় সীমান্তে শত কোটি টাকার পণ্যবোঝাই ছয় শতাধিক ট্রাক আটকা পড়েছে।
শেওলা স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন ইনচার্জ ইমরান মাতব্বর বলেন, যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকলেও আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। তবে গতকাল আমদানি-রপ্তানি আংশিক চালু ছিল।
জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরিফুদ্দিন জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে কোনো পণ্য আসেনি। গতকাল সকালে মাত্র ৬ টনের মতো পণ্য এসেছে। শুল্ক স্টেশনের দাপ্তরিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
তামাবিল কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা তানভীর হোসেন জানান, পাথর আমদানি বন্ধ থাকায় কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।