মতলব উত্তর উপজেলায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। অক্টোবরের চেয়ে নভেম্বর মাসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত তিন সপ্তাহে ২৯জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে কিছু রোগী সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে গেছে। ৫জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, চলতি নভেম্বর মাসে ৩৩জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নেয় এই হাসপাতালে। গত ২১ দিনেই চিকিৎসা নিয়েছে ২৯ জন। ঢাকায় রেফার করা হয় ৫ জনকে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হাসিবুর রহমান শান্ত জানান, গত ৩-৪ দিন শরীরে প্রচণ্ড জ্বর, মাথা ব্যথা ও বমি নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনি ভর্তি হন। ডাক্তারের পরামর্শে ডেঙ্গু পরীক্ষার পর পজিটিভ জানতে পারেন। তবে এখন আগের চেয়ে অনেকটা সুস্থবোধ করছেন।
এছাড়া সংবাদ সারাবেলা পত্রিকার মতলব প্রতিনিধি এখলাছপুর গ্রামের মৃত মো: সামছলহক বেপারীর ছেলে সাংবাদিক মো: তুহিন ফয়েজ গত ৮/ ১০ দিন যাবত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর রুপসী বাংলা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে নিজ বাসায় চিকিৎসকের পর্যবেক্ষনে রয়েছে এবং তার সুস্থ্যতা কামনায় সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন ৷
মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. হাসিবুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু মশাবাহিত একটি রোগ। ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পেতে হলে এডিস মশা নিধন করতে হবে। মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করতে হবে। এক্ষেত্রে অবহেলা করা হলে সামনে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হবে বলে সতর্ক করলেন তিনি। তিনি আরো বলেন, ডেঙ্গু জ্বর হলো ব্যাকবোন ফিভার। ডেঙ্গু হলে প্রচণ্ড মাথা ব্যথা হয়, সারা শরীরে র্যাশ উঠে ও ১০৩-১০৫ ডিগ্রি তাপমাত্রার জ্বর আসে। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। জ্বর হলে শুধু প্যারাসিটামল ওষুধ খেতে হবে। এসপিরিন জাতীয় কোনো ওষুধ খাওয়া যাবে না। প্রচুর পানি খেতে হবে। একই সঙ্গে সিভিসি পরীক্ষা করিয়ে দেখতে হবে। প্লাটিলেট যদি ১ লাখের নিচে নেমে আসে তাহলে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।