কুমিল্লার তিতাসে এক অসুস্থ বিধবা বৃদ্ধা ও তার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মেয়েসহ পরিবারকে পৈত্রিক ভিটেমাটি থেকে মারধর করে উচ্ছেদ করার অভিযোগ উঠেছে সাবেক ইউপি সদস্য ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে।ভিটেমাটি হারিয়ে অন্যের বাড়ীতে অনাহারে-অর্ধাহারে আশ্রয়ে মানবেতর জীবন কাটছে উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের মানিককান্দি গ্রামের মৃত দাউদ হোসেনের পরিবারটির।
জানা যায়,উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মানিককান্দি গ্রামের আবুল হোসেন মোল্লা গ্রুপ ও সাইফুল ইসলাম মেম্বার গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সহিংসতা চলে আসছে। সহিংসতায় আবুল হোসেন মোল্লার ছেলে জহির নিহত হয়।এরপর ওই মামলায় আসামি হয়ে সাইফুল মেম্বারসহ তার পরিবার গত কয়েক বছর পলাতক ছিলো।
এদিকে মানিককান্দি গ্রামের মৃত দাউদ হোসেনের স্ত্রী মমতাজ বেগম ও তার প্রতিবন্ধী মেয়ে নাছিমা বেগম আবু মোল্লার ইটের ভাটায় শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো।গত ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের পর সাইফুল মেম্বারসহ তার গ্রুপের লোকজন
বাড়ীতে উঠে সাইফুল মেম্বার।
ভিটেমাটি হারিয়ে বৃদ্ধা মমতাজ বেগম সাংবাদিকদের বলেন, আমি ও আমার পরিবার আবু মোল্লার ইট ভাটায় কাজ করার কারণে সাইফুল মেম্বার আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে। আমাকে মেরে বাড়ী থেকে বের করে দিয়ে উঠানে সবজি চাষ করছে। শ্বাসকষ্টের রোগি মমতাজ বেগম ও তার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মেয়ে নাছিমা বেগম ও দেলোয়ারা বেগমসহ তাদের পরিবার সাইফুল মেম্বারের প্রতিহিংসার স্বীকার বলেও জানান তারা।
তবে এসব অভিযোগ অস্বিকার করে সাইফুল ইসলাম মেম্বার বলেন, আমি কাউকে উচ্ছেদ বা তাড়িয়ে দেই নাই।আমরা বাড়িতে ফেরার আগেই ওরা বাড়ী ঘর ছেড়ে চলে গেছে। তারা আবু মোল্লার আশ্রয়ে আমার ক্রয়কৃত ভিটায় ঘর তুলে জোর করে বসবাস করতো। তাই তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছি। তাদের জায়গা সঠিক হলে কাগজপত্র নিয়ে আসুক।এ বিষয়ে তিতাস থানা অফিসার ইনচার্জ মামুনুর রশীদ বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিব।