বান্দরবানের রুমায় উপজেলায় যৌথ বাহিনীর অভিযানের কেএনএফের-তিন সদস্যের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গত-২৪ অক্টোবর রুমা উপজেলায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কুকি চিন'র (কেএনএ) ৩ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আইএসপিআর জানায় বান্দরবানের রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের মুননোয়াম পাড়ার দিকে ৬নং ওয়ার্ডে কুত্তাঝিড়ি এলাকা গহীন জঙ্গলে সেনাবাহিনী কেএনএ-এর গোপন আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ৩ কেএনএ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। এছাড়া অস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। অভিযান এখানো চলমান রয়েছে বলে তথ্যটি নিশ্চিত করেন।
আজ-২৫ অক্টোবর রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের -৬ নং ওয়ার্ডের মুননোয়াম পাড়া কুত্যাই ঝিড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। নিহত কেএনএফ সদস্যের নাম পেনখুপ বম, (৬৫) পিতা- মৃত থংনিয়ার বম সারন পাড়া,ভানলাললিয়ান বম (২২) পিতা- ত্লোয়াং থন বম, হ্যপিহিল পাড়া,মহিলা-এলি ভানজির পার বম(১৮) পিতা- ভানসাং বম, সুয়ানলু পাড়া।
যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে -৩ জন। নিহতরা সবাই বম সম্প্রদায়ের পুরুষ সদস্য-২ জন ও মহিলা-১ জন এ সময় কেএনএফ সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
২০২২ সালের এপ্রিলে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) বান্দরবানে আত্মপ্রকাশ করে। জানা যায়, কেএনএফ-এর সামরিক শাখা কেএনএ-এর শতাধিক সদস্য তিন বছর আগে গেরিলা প্রশিক্ষণের জন্য মিয়ানমারের কাচিন প্রদেশে যায়। ২০২১ সালে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একটি দল ফিরে আসে। এই দলের সদস্যরাই এখন পাহাড়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে।
স্থানীয়রা জানান,২৪ অক্টোবর সকালেই ওই এলাকায় যৌথ বাহিনীর সঙ্গে কেএনএফের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সংঘর্ষ হয়। এতে গোলাগুলিতে ওই কেএনএ সদস্যরা নিহত হয়ে থাকতে পারেন।
এ বিষয়য়ে রুমা থানা ইনচার্জ ভারপ্রাপ্ত ওসি মোঃ সোহরাওয়ার্দি বলেন গতকালেই সেনাবাহিনী ও কেএনএফ সন্ত্রাসী'র বন্দুক যুদ্ধ হয়। এতে আজকের কেএনএ সদস্য লাশটি উদ্ধার করা হয়।