রবিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে রাজশাহীতে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে ৮ শয্যা বিশিষ্ট আইসিইউ ইউনিটের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।
উদ্বোধন পরবর্তী আলোচনা ও পরামর্শকমূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীরা মারাত্মক মৃত্যু ঝুঁকিতে থাকেন। এটি অন্য রোগের মত নয়। তীব্রভাবে আক্রান্তরা খুব বেশি সময় পান না। রাজশাহীতে হৃদরোগীদের চিকিৎসায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠায় যারা অবদান রেখেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিভাগীয় কমিশনার।
তিনি বলেন, গবেষণায় দেখা যায় বিভিন্ন কারণে প্রতি পাঁচ জন তরুণের মধ্যে একজন হৃদরোগের ঝুঁকিতে রয়েছে। হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে এমন খাদ্যাভাস পরিহার করতে হবে। তামাকজাত দ্রব্যাদি আমাদের হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় ও রক্তচাপ বৃদ্ধি করে। পরিমিত খাদ্যাভাস, শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়াম আমাদের হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাসে সহায়তা করে। এ হাসপাতালের উন্নয়নে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন বিভাগীয় কমিশনার। রাজশাহী ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোঃ আব্দুল মান্নান এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আখতার, রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক।
সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট ডাইরেক্টর কাম চিফ কনসালটেন্ট ও ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোঃ রইছ উদ্দিন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ও আইসিইউ প্রধান ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সদস্য ডাঃ আবু হেনা মোস্তফা কামাল। অনুষ্ঠানে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যবৃন্দ, সুধীজন ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর সম্পাদক অধ্যাপক মুহাঃ হবিবুর রহমান সহ একাধিক বক্তা বলেন, রাজশাহীর এই ফাউন্ডেশনে বাৎসরিক মাত্র এক কোটি টাকা সরকারের পক্ষ থেকে আসে। যেটি অন্যান্য স্থানের চাইতে অতি নগণ্য। রাজধানীর হার্ট ফাউন্ডেশনে বাৎসরিক ১৭ কোটি, চট্রওগ্ৰামের জন্য সাত কোটি ও সিলেটের জন্য তিন কোটির বরাদ্দ থাকলেও বিভাগীয় শহর রাজশাহীর জন্য মাত্র এক কোটি টাকা বরাদ্দ থাকে। উত্তরাঞ্চলের প্রধান স্বাস্থ্যসেবা এই শহর কেন্দ্রিক। তাই হৃদরোগের মতো ঝুকিপূর্ণ সেবার ক্ষেত্রে আরোবেশি উচ্চ মানসম্পন্ন ও অত্যাধুনিক মেডিকেল যন্ত্রপাতি ও সরকারি আর্থিক সহায়তার পরিমাণ বৃদ্ধি করা গেলে, রাজশাহী বিভাগের রোগীদের ঢাকামূখী ভোগান্তি কমবে।
বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বক্তাদের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বলেন, আর্থিক বিষয়টি আমি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অবগত করো।