রাজশাহী নগরীতে জোরপূর্বক অন্যের জমিতে প্রবেশ করে চাঁদা দাবি, জমিতে চলমান কাজ বন্ধ করে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে বিএনপির বহিষ্কৃত এক নেতা ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর টুটুল ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে।
আজ (১৭ নভেম্বর) বেলা ১২ টায় রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের হলরুমে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ভুক্তভোগী পরিবার। এসময় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অবসারপ্রাপ্ত সেনা সদস্য সুজাউদ্দৌলা।
তিনি বলেন, বিগত ২০২১ সালে ২৭ জন মিলে ১৪ নম্বর ওয়ার্ড ডাবতলা এলাকায় খতিয়ানের মাধ্যমে একখন্ড জায়গা ক্রয় করি। গত ১৬ নভেম্বর ওই জমিতে বিল্ডিং তৈরির উদ্দেশ্যে মাটি কাটার কাজ শুরু করলে সাবেক কাউন্সিলর টুটুল, তার বোন শাহানাজ বেগম, তাজমা বেগম সহ অজ্ঞাত আরো ২০/২৫ জন লোক অনধিকার ভাবে আমার ক্রয়কৃত জমিতে প্রবেশ করে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে বিল্ডিং তৈরির কাজ বন্ধ করে হৈচৈ শুরু করে ও অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে এবং আমাকে শারিরীকভাবে হেনস্তা করে। এ জমিতে বিল্ডিং তৈরি করা হলে রক্তের বন্যা বইয়ে দেওয়া হবে বলে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। অভিযুক্ত টুটুল ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এমতাবস্থায় ওই দিনই এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ করি। এর আগে বহুবার এ জমি নিয়ে আমার সাথে ঝামেলা করেছে অভিযুক্ত টুটুল। এ বিষয় নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে আমি একটি মামলাও দায়ের করেছি। আদালতে অভিযুক্তরা কোনোরকম কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
সুজাউদ্দৌলা আরো বলেন, তাদের কাছে জমির সঠিক কাগজপত্র না থাকায় আইনগতভাবে তারা আমার থেকে জমিটি নিতে পারছেন না। যার কারণে বর্তমানে তারা জোরপূর্বক জমিতে চলমান কাজ বন্ধ করে দিতে চায়ছে। কাজ বন্ধ না করলে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছেন। এমতাবস্থায় আমি প্রাণনাশের আশঙ্কায় রয়েছি।
অভিযুক্তদের আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক বিচারের দাবি জানান প্রাক্তন সেনা সদস্য সুজাউদ্দৌলা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিপ্লব কুমার ঘোষ ও মুস্তাফিজুর রহমান।