ঝিনাইদহ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড হামদহ আল-ফালাহ হাসপাতালের পশ্চিম দিকে ৩৭নং ইরাদ আলী সড়কের পাশে বাসাবাড়ির ময়লা আবর্জনা ফেলে পয়ঃবর্জ্যের স্তুপ গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে পৌরসভার নির্ধারিত কোনো ডাস্টবিন নেই। তবুও বছরের পর বছর অনির্ধারিত উন্মুক্ত জায়গাটি ডাস্টবিনে পরিণত করা হয়েছে। ফলে গবাদি পশু-পাখি, কুকুর, বিড়াল, কাক বিচরণ করে ময়লার এই স্তুপ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাস্তার উপর ফেলছে। যে কারণে রাস্তাটি ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
একটু বাতাস হলেই বিকট দুর্গন্ধ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে জনবহুল এলাকার মানুষের যাতায়াত ও অসহনীয় দুর্গন্ধে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। উক্ত মহল্লায় ডাস্টবিনের অভাবে স্থানীয় বাসা বাড়ির ময়লা আবর্জনা অনেক সময় পাশের ড্রেনে ফেলে। এতে ময়লা আবর্জনায় ড্রেন ভরে ময়লার স্তুপে মিশে যায়। একটু বৃষ্টি হলেই ড্রেনের পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এছাড়া দীর্ঘদিন যাবত ময়লা আবর্জনা ও ড্রেন পরিস্কার করা হয়না।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন বাসা বাড়ির সংগৃহীত ময়লা আবর্জনা পথচারীরা রাতের আঁধারে এখানে এনে ফেলে রেখে যায়। উচ্ছিষ্ট খাবার থেকে শুরু করে নানা ধরনের বর্জ্য ফেলা হয় এখানে আর তা থেকেই মূলত দুর্গন্ধ ছড়ায়। উক্ত সড়কের পাশে নির্ধারিত ডাস্টবিন নির্মাণসহ দুর্গন্ধ মুক্ত করে সড়কটিতে যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে পৌর কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসি।
এদিকে শহরের আরও কয়েকটি জায়গায় রাস্তার ধারে ময়লা-আবর্জনা ফেলে পরিবেশ দূষণ করা হচ্ছে। এরমধ্যে রয়েছে সিএন্ডবি পুকুর পাড়, উপশহর পাড়া শাপলা মেস, ব্যাপারীপাড়া জোড়াপুকুর, কাঁঠালবাগান, খালপাড়া, হামদহ হাসপাতাল রোড, চুয়াডাঙ্গা সড়কে আটপুকুর, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, হামদহ প্রিন্স হাসপাতাল ও ওজোপাডিকো অফিসের পেছনসহ অনেক জায়গা।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তার পাশে উন্মুক্ত ময়লার কন্টেনারে রাখা প্লাস্টিকের বোতল, পরিত্যক্ত পলিথিন, কাগজ, কার্টুন, উচ্ছিষ্ট খাবার, ক্লিনিক্যাল বর্জ্যসহ নানা ধরনের আবর্জনা বিচ্ছিন্নভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। বৃষ্টি হলে এসব ময়লা আরও বেশি ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যাচ্ছে। নিয়মিত ভাবে এসব ময়লা আবর্জনা অপসারণ করা হচ্ছে না।
জানা যায়, পৌরসভার পক্ষ থেকে বিভিন্ন ওয়ার্ডের পাড়া মহল্লায় রাস্তার পাশে অস্থায়ী বেশকিছু কন্টেইনার থাকলেও তাতে ময়লা না ফেলে ফাঁকা জায়গায় ফেলে যাচ্ছে অনেকে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ কামালউদ্দীন বলেন, অনেক মানুষ অসচেতন ভাবে রাস্তায় ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাস্তাকে নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন করে ফেলছে। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ১০৬ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও সুইপার নিয়মিত ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করেন। এছাড়া সকালে ও রাতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে থাকা ছোট-বড় ৮০-৯০টি ডাস্টবিন থেকে আবর্জনা অপসারণ করা হয়। রাস্তায় পড়ে থাকা আবর্জনাও রাতের বেলা ঝাড়ু দিয়ে অপসারণ করা হয়।
তিনি আরো বলেন, হামদহ এলাকায় ইরাদ আলী সড়কে অনির্ধারিত উন্মুক্ত স্থানে ও ফুটপাতে আবর্জনা ফেলার বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে নগরবাসীকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।