উপাধ্যক্ষ থেকে অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়নের ৮ দিনের মাথায় আন্দোলনের মুখে ওএসডি হলেন রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মাহফুজার রহমান। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালিতে বিশেষ কর্মকর্তা (ওএসডি) করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব দূর-রে শাহওয়াজ সাক্ষরে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
একই প্রজ্ঞাপনে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. শরিফুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। এদিকে এই প্রজ্ঞাপনের পরেই শাটডাউন কর্মসূচী স্থগিত করেছে আন্দোলনকারীরা।
এর আগে অধ্যক্ষ পদত্যাগের দাবিতে পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে দু’ঘন্টার কর্মবিরতি পালন করেছে বৈষ্যম বিরোধী চিকিৎসক, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আন্দোলনকারীরা সকাল ৯টা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত হাসপাতালের বর্হিবিভাগ ও আন্তবিভাগে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখে। আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে অংশ নেয় হাসপাতাল ও কলেজে দায়িত্বে থাকা সব শ্রেনীর কর্মকর্তা, কর্মচারী, ইর্ন্টাণ চিকিৎসকসহ সেবিকারা। এতে হাসপাতালের স্বাভাবিক চিকিৎসায় প্রভাব পরে। বর্হিবিভাগের সকাল সাত টা থেকে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করেন শত শত মানুষ। গিজ গিজ করতে থাকে হাসপাতাল জুরে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগি ও তাদের স্বজনরা।
একদিকে দাবি, অন্যদিকে উত্তরের সাড়ে চার কোটি মানুষের আশা-ভরসারস্থল রংপুর মেডিকেলের কথা চিন্তা করে আন্দোলকারীরা মাত্র দু’ঘন্টা কর্মবিরতি পালন করে। দূর্নীতি পরায়ন ও অতিলোভী অধ্যাপক ডা. মাহফুজুর রহমানের অধ্যক্ষের পদন্নোতি বাতিল করে অনত্র বদলী করা না হলে শক্ত আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন তারা। পরে বেলা ১২টায় আন্দোলনকারীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শেষে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
বিক্ষোভ সমাবেশ বক্তব্য দেন কলেজ উপাধ্যক্ষ সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, আন্দোলন কমিটির সাধারন সম্পাদক মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম, ডা. আদেলুজ্জামান রানা, শিক্ষার্থী অমিত, নিয়াজ শরীফ, নাজমুল সাদাকত তানজিল, ফাতেমা আজাদসহ অনেকেই।
উল্লেখ্য নিয়োগের পরের দিন থেকেই নতুন অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী চিকিৎসক, কর্মচারী ও ছাত্র-জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে আসছিলো মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকদের একটি পক্ষ। সেই আন্দোলনের মুখেই ওএসডি হলেন সেই অধ্যক্ষ।