ত্রিশ বছর বয়সী নারী শ্রমিক মনি বেগম। তিন সন্তানের এই জননী গৃহিণী হলেও প্রবাসী স্বামীর আয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাওয়ায় স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর আওতায় সড়কে নারী শ্রমিক হিসাবে কাজ শুরু করেন তিনি। সম্প্রতি এই নারী শ্রমিককে নিয়ে এলাকার কয়েকজন দুস্কৃতিকারী পরকিয়ার অভিযোগ এনে হেনস্তা শুরু করলে ভয়ে এলাকা ছাড়া হন মনি বেগম। মিথ্যা অপবাদের বলি হয়ে স্বামী-সংসার ও স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকাটাই দায় হয়ে দাড়িয়েছে, রোববার দুপুরে কান্নাজড়িত কন্ঠে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এমনটিই অভিযোগ করেন ভিকটিম মনি বেগম।
ভুক্তভোগী মনি বেগম লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কাশিপুর গ্রামের মনগাজী ব্যাপারী বাড়ির প্রবাসী ইব্রাহিম খলিলের স্ত্রী ও সাহাপুর ইউনিয়নের বরকত উল্ল্যাহ হাজী বাড়ির বাসিন্দা। তিনি নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলা স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর আওতায় নারী শ্রমিক হিসাবে কাজ করছেন।
ভুক্তভোগী মনি বেগম ও তার স্বজনরা জানান, দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে সুখের সংসার মনি বেগমের। স্বামী প্রবাসে থাকায় সন্তানদের নিয়ে বসবাস শুরু করেন বাবার বাড়িতে, পরিবারের আয় বাড়াতে নারী শ্রমিক হিসেবে কাজে যোগ দেন তিনি। এসময় পরিবারের অন্য সদস্যেদের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়লে স্থানীয়ভাবে জনপ্রতিনিধি ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে বিষয়টি সমাধান করা হয়। এসময় সেই সালিশে স্থানীয় সোমপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী ও গন্যমান্য ব্যক্তি মাসুদও উপস্থিত ছিলেন। দেশের চলমান পরবর্তীত পরিস্থিতিতে মাসুদকে সামাজিক ও পারিবারিকভাবে ঘায়েল করতে কিছু দুস্কৃতিকারী মনি বেগমের সাথে পরকিয়ার সম্পর্ক রয়েছে এমন অযুহাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে হেয় প্রতিপন্ন শুরু করে। স্থানীয় কয়েকজন দুস্কৃতিকারীর ভয়ে এলাকা ছাড়া মনি বেগম, প্রতিনিয়ত তার স্বজনদের হুমকি দিচ্ছে তারা।
এবিষয়ে জানতে মাসুদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার পরিবার ও সন্তান রয়েছে। যারা এধরনের প্রভাকান্ড ছড়াচ্ছে তারা আমার সামাজিক ও পারিবারিকভাবে ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করছে। ওই নারী শ্রমিককে তাদের পারিবারিক সালিশের কারণে চিনলেও তার সাথে কোন ধরনের অনৈতিক সম্পর্ক নেই বলেও দাবি করেন মাসুদ। এনিয়ে নিয়ে তিনি প্রশাসন ও স্থানীয়দের কাছে ন্যায় বিচার দাবি করেন।
স্থানীয় সুশীল সমাজের কয়েকজন জানালেন, কিছু দুস্কৃতিকারী অন্যায়ভাবে সবসময় মানুষের পিছনে লেগে থাকে। পরকিয়ার অভিযোগের বাদি-বিবাদী কেউ নেই, শুধুমাত্র ধারণার উপর ভিত্তি করে দুইটি পরিবার ও একটি সমাজে ব্যধি ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে, এর নেপথ্যে রয়েছে কিছু দুস্কৃতিকারী। এদেরকে চিহিৃত করে আইনের আওতায় এনে বিচার ও সামাজিকভাবে দুস্কৃতিকারীদের বয়কট করারও দাবি করেন তারা।