আড়িয়াল বিলের শামুক দেশের বিভিন্ন জেলার মাছের খামার ও চিড়িংর ঘেরে যাচ্ছে। মাছের খাদ্য প্রস্তুতকরণে শামুকের চাহিদা ব্যাপক। এতে আড়িয়ল বিল পাড়ের অনেকেই বিনা পুঁজিতে জলাশয়ে শামুক কুড়িয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে আড়িয়াল বিলে শামুক বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন প্রায় শতাধিক মানষ। ডিঙ্গি কোষা নৌকা নিয়ে সকাল-দুপুর আড়িয়ল বিলের বিভিন্ন স্থান থেকে শামুক সংগ্রহ করে আনছেন তারা। এসব আড়িয়াল বিলের চিংড়ির ঘেরে যাচ্ছে শামুক পাইকারের কাছে বিক্রি করে সংসারের অর্থের যোগান দিতে পারছেন তারা। এ অঞ্চলে বর্ষা মৌসমে কয়েক মাস কুষিতে তেমন কাজ না থাকায় এলাকায় বেকার হয়ে পড়েন। তাই নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া এসব সাধারণ মানুষ বছরের কয়েক মাস আড়িয়ল বিলে শাপলা, শামুক কুড়িয়ে ও মাছ শিকার করে জীবন নির্বাহ করেন। এরই মধ্যে বিলের পানি কমতে থাকায় শাপলার মৌসম প্রায় শেষের দিকে। তাই শামুক কুড়াচ্ছেন। শামুক কুড়িয়ে প্রতিদিন ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা আয় করতে পারছেন তারা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, হাঁসাড়া ইউনিয়নের আলমপুর সড়কের পাশে নৌকা থেকে কুড়ানো আড়িয়াল বিলের চিংড়ির ঘেরে যাচ্ছে শামুক নামানো হচ্ছে। ৫০ কেজি ওজনের প্রতিবস্তা শামুক বিকিকিনি হচ্ছে ৪০০ টাকা দরে।
এ সময় লস্করপর এলাকার তাছলেম মোড়ল নামে একজন বলেন, সূর্য আলো ফোটার আগে নৌকা নিয়ে আড়িয়ল বিলে শামুকের সন্ধানে যান। শাপলার সিজন শেষে এখন শামুক কুড়িয়ে বিক্রি করছেন। আড়িয়ল বিলে প্রতিদিন কয়েক ঘন্টা শ্রম দেওয়ার বিনিময় ৩-৪ বস্তা শামুক কুড়াতে পারছেন।
বাড়ৈখালীর সাবেক ইউপি সদস্য মো. হেলাল শামুক ব্যবসা করছেন। কেউ কেউ বলেন, গত ২ বছর শামক কুড়ানোর কাজ করেননি। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের বাজার মূল্য বৃদ্ধির ফলে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। তাই সংসারের অর্থের যোগান দিতেই ক’দিন শামুক কুড়নোর কাজ করবেন তারা।
শফিকুল ইসলাম নামে একজন বলেন, দৈনিক রোজে শামুকের পাইকার হেলালের কাজ করেন তিনি। আড়িয়ল বিলে এখনও ৪-৫ ফট পানি রয়েছে। বিল থেকে আরো কিছুদিন শামুক সংগ্রহ করা হবে। স্থানীয়দের কাছ থেকে প্রতিদিন শতশত বস্তা শামুক কিনছেন তারা। এসব শামুক নিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে খুলনার চিড়িংর ঘেরে। ঘের সংশ্লিষ্টরা মাছের খাদ্য হিসেবে এসব শামুক প্রক্রিয়াজাত করছেন।