কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনা ও ব্রহ্মপুত্র নদের বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে ৬ হাজার মিটার রিং ও কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৭টা থেকে ১১টা পর্যন্ত মেঘনা ও ব্রহ্মপুত্র নদ এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) রেদুয়ান আহমেদ রাফি।
এসময় অভিযানে ম্যাজিস্টেট দেখে পালিয়ে যায় অসাধু মাছ শিকারীরা। অভিযানে ভৈরব উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. মাহবুবুর রহমান ও ভৈরব নৌ-থানা পুলিশ সহায়তা করেন। অভিযান শেষে মেঘনা ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় উদ্ধারকৃত জালগুলো আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করেন মৎস কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. মাহবুবুর রহমান।
মৎস অফিস সুত্রে জানা যায়, সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে ১৩ অক্টোবর থেকে ০৩ নভেম্বর টানা ২২ দিন ইলিশ নিধন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এসময় ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণ থাকবে। যদি কোন জেলে এই আইন অমান্য করে তাকে কমপক্ষে ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানাসহ উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।
এ বিষয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) রেদুয়ান আহমেদ রাফি বলেন, মা ইলিশ মাছ ও জাটকা নিধন বন্ধে এই অভিযান পরিচালনা হচ্ছে। সরকার ২২ দিন মা ইলিশ নিধনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই ২২ দিন মা ইলিশ রক্ষা করতে পারলে মাছে প্রজনন বৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে জেলেদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ভৈরবের ৮০০ এর অধিক জেলেদের ২৬ কেজি করে চাউল বিতরণ করা হয়েছে।
এদিকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মৎসজীবীরা নিষিদ্ধ চায়না রিং জাল ও কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ শিকার করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনায় ও ব্রহ্মপুত্র নদে অভিযান পরিচালনা করে ৬ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও রিং জাল জব্দ করা হয়েছে। মাছের ডিম ছাড়ার এই মৌসুমে মা ইলিশ ও জাটকা নিধন বন্ধ না করলে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। অভিযানে উদ্ধারকৃত নিষিদ্ধ জাল পুড়িয়ে ধ্বংসসহ নদী এলাকায় থাকা মৎসজীবীদের সতর্ক করা হয়েছে।