× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা জামায়াত বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

সংবাদ সারাবেলায় সংবাদ প্রকাশে বন্ধ হচ্ছে অটোরিকশা!

মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি।

১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১৫:৫৭ পিএম

ছবিঃ মোঃ আব্দুল কাইয়ুম

’’মৌলভীবাজার শহর জুড়ে ব্যাটারি চালিত অটো রিকশার রাজত্ব’’ শিরোণামে গত ১০ অক্টোবর জাতীয় দৈনিক সংবাদ সারাবেলার প্রিন্ট ও অনলাইন ভার্সনে দীর্ঘ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর সোস্যাল মিডিয়ায় বেশ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই এটি বন্ধের উদ্যেগ নিতে প্রশাসনের প্রতি আহবানও জানিয়েছেন। অবশেষে শহরে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা অচিরেই বন্ধ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন পিপিএম।

গত মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জলা আইন-শৃঙ্খলা সভায় পুলিশ সুপার কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন এই তথ্যটি জানান। ওই সময় তিনি বলেন, অবৈধ সিএনজি ও টমটম গুলো বিরুদ্ধে অভিযান চলবে। শহরের সড়কগুলোতে এসব অবৈধ যানবাহন আর চলতে দেওয়া হবেনা। মৌলভীবাজার জেলায় ৩৪ হাজার সিএনজি রয়েছে। কিভাবে এতো সিএনজি বৃদ্ধি পেলো তা আমরা খতিয়ে দেখব। এবং যাদের কাগজপত্র আপডেট নেই তাদেরকে আমরা আটক করে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তিনি বলেন শহরে প্রায় ১৫ হাজার টমটম রয়েছে এগুলো সাবেক পৌরসভার মেয়র তাদেরকে চলার অনুমতি দিয়েছেন। তখন আমাদের পুলিশের কোনো প্রতিনিধি রাখা হয়নি। যখনই শহরে যানজটের সৃষ্টি হয় তখন বিভিন্ন পর্যায় থেকে পুলিশের উপরে দোষারোপ সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ব্যাটারি চালিত রিকশা বন্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। ইতিমধ্যে অনেক রিকশা আটকও করা হয়েছে। পাশাপাশি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালকদের কাউন্সেলিং করা হচ্ছে। যাতে তারা মূল সড়কে অটোরিকশা গুলো না চালান।    

জানা যায়, ব্যাটারিচালিত তিন চাকার অবৈধ অটো রিকশায় ছেয়ে গেছে মৌলভীবাজার শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও হাটবাজারের অলিগলি। শহরে প্যাডেল চালিত রিকশার সংখ্যা দিন দিন কমলেও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ব্যাটারী চালিত রিকশার সংখ্যা। কী পরিমান ব্যাটারি চালিত রিকশা রয়েছে তার সঠিক হিসাব পাওয়া মুশকিল। তবে প্রতি মুহুর্তে যে হারে লাইন বেঁধে সড়কে ছুটছে রিকশাগুলো, তাতে ধারণা শহরে অন্তত ৩ থেকে ৪ হাজারেরও বেশি অবৈধ প্যাডেল চালিত অটো রিকশা চলছে। শুধু গত আগস্ট ও সেপ্টেম্বরেই শহরে প্রবেশ করেছে অন্তত ২ থেকে ৩ গুণ রিকশা। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকেও প্রতিদিন শহরে প্রবেশ করছে অগনিত রিকশা। এমনকি হবিগঞ্জ জেলা থেকেও আসছে। সরজমিন অনুসন্ধানে এমন তথ্যের খুঁজ মিলেছে। তিনচাকার এসব বাহনের গতি প্যাডেলচালিত রিকশার চেয়ে অনেকগুন বেশি হওয়ায় শঙ্কা থাকে যেকোন সময়ে দুর্ঘটনার। চালকদেরও নেই কোন দক্ষতা। ফলে অহরহ ঘটছে সড়কে ছোট-খাটো দূর্ঘটনাও। কোথাও অন্য বাহনের সাথে প্রতিযোগিতায় নেমে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যাচ্ছে সড়কের পাশের খাদে।

সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজার শহরের বড়হাট,ঢাকা বাসস্ট্যান্ড, বড়কাপন, রঘুনন্দনপুর, ধরকাপন, সমশেরনগর সড়ক, কাজিরগাও ও চুবড়া এলাকায় রয়েছে এসব রিকশার গ্যারেজ। এসব গ্যারেজে রাতের বেলা অন্তত ৫ থেকে ৬ ঘন্টা পর্যন্ত চার্য দেয়া হয় প্রতিটি রিকশা। এসব বাহন ব্যাটারির মাধ্যমে পরিচালিত হয় এবং সেই ব্যাটারি কয়েক ঘণ্টা পর পর চার্জ দিতে হয়। এতে প্রতিদিন উৎপাদিত বিদ্যুতের একটা অংশ চলে যাচ্ছে এই ব্যাটারিচালিত রিকশার পেটে। সাধারণত একটি ব্যাটারি চালিত রিকশা চালানোর জন্য ১২ ভোল্টের ৪টি ব্যাটারি প্রয়োজন। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে প্রতি সেট ব্যাটারি চার্জের জন্য মাসে বিদ্যুৎ খরচ হয় ৩শ থেকে সর্বোচ্চ ৪শ ইউনিট পর্যন্ত। সেই হিসেবে একহাজার রিকশার পেটে চলে যাচ্ছে মাসে প্রায় ৩ লক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ৪ লক্ষ ইউনিট বিদ্যুৎ পর্যন্ত। গড়ে প্রতিটি রিকশার জন্য মাসে অন্তত ৩ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয়। সব মিলিেিয় একহাজার রিকশার জন্য প্রতিমাসে খরচ হচ্ছে ৩ হাজার কিলোওয়াট বিদ্যুৎ। তবে যেহেতু গত কয়েক মাসে শহরে রিকশা বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ, কাজেই বিদ্যুৎ ব্যবহারের মাত্রাটাও হবে আরও অনেক বেশি।  

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.