ভোলার দৌলতখান উপজেলার পশ্চিম জয়নগর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নাজিম উদ্দিন শিপনের, পানির কল দেওয়ার কথা বলে, ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা প্রতারণা করে দিয়ে নেন। পুলিশের চাকরি দেওয়ার কথা বলে, ৭ থেকে ৯ লাখ টাকা, মানুষদের কে বোকা বানিয়ে আলী আজম মুকুলের কথা বলে, হাতিয়ে নেন। এমনকি ওয়ার্ডের সাধারণ গরিব অসহায় মানুষের ভিজিডি কার্ড ও ভিজিএফ কার্ডের নামও অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
বটতলা বাজারে নিজের বাসভবনসহ একটি দোকান রয়েছে ওই জমিন জোর পূর্বে দখল করে, নিজে বাড়ির নির্মাণ করেছেন। তার বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আসছে পশ্চিম জয়নগর ইউনিয়ন’বাসীর জনগণ। এলাকার কেউ মুখ খুললেই মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীসহ বিভিন্ন ধরনের জুলুম ও নির্যাতনের মাধ্যমে পশ্চিম জয়নগর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের জনগণকে জিম্মি করে রেখেছেন নাজিম উদ্দিন শিপন।
গত ৩/৯/২০২৪ ইং তারিখে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৫৫ জনকে আসামি করে, একটি ২৪ লাখ টাকার চাঁদাবাজি মামলা দাখিল করেন, আবু নোমান মোঃ ছফিউল্লাহ। সে মামলার ভিতরে ১৯ নম্বর আসামি নাজিম উদ্দিন শিপন মামার নং ৪০৬/২৪ ইং। ঘটনার সূত্রে জানা গেছে, নাজিম উদ্দিন শিপন তৎকালীন সাবেক এমপি আলী আজম মুকুলের ক্ষমতার দাপটে এই ধরনের অপকর্ম করে, কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করে, হাতিয়ে নিয়েছেন সাধারণ মানুষের কাছ থেকে।
এদিকে প্রকৃত ঘটনা অনুসন্ধান করে জানাগেছে, গত ৫/৯/২০২৪ ইং তারিখে মোঃ রিয়াজ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাদী হয়ে আরও একটি চাঁদাবাজি মামলা দাখিল করেন,
এ মামলার ১৪ নম্বর আসামী নাজিম উদ্দিন শিপন। এ ব্যাপারে মামলার বাদী মোঃ রিয়াজ সাংবাদিকদেরকে জানান, পশ্চিম জয়নগর ইউনিয়নের নাজমুল হাসান বাচ্চু চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান ছিলেন, নাজিম উদ্দিন শিপন মেম্বার।
পশ্চিম জয়নগর ইউনিয়নবা’সীর কাছে জানা যায়, বৈষম্য’বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকার পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে, ভোলার ৪ আসনের সকল এমপি আত্মগোপনে রয়েছেন এবং আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবকে ইতিমধ্যে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ভুক্তভোগীরা আরও বলেন, আলী আদম মুকুল সহ সকল আসামীদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করার পরে, পুলিশ এখনো এদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের অভিযান চালাচ্ছে না। এই নাজিম উদ্দিন শিপন মেম্বার পশ্চিম জয়নগর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য থাকা সত্ত্বেও তিনি ইউনিয়ন পরিষদে সকল কার্যক্রম চালিয়ে আসছে এখনো।
দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের হনি গ্রামের মামুন বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আরও একটি ২০ লাখ টাকার চাঁদাবাজি মামলা দাখিল করেন, মামলার নং ৪০০/২৪ ইং। মামলার আসামি করেন, ইফতারুল হাসান স্বপন, নাজমুল হাসান বাচ্চু, কামরুল হাসান মিলন, তুহিন, মিজানুর রহমান, কাউসার সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। সেখানেও নাজিম উদ্দিন শিপন ১৭ নম্বর আসামি। মামলাটি ভোলায় ডিবি কার্যালয় তদন্ত করে সঠিক প্রতিবেদন আদালতে পূরণ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন ভোলার সিনিয়র জুটিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
ভুক্তভোগী আবু নোমান ও মোঃ মামুন সহ অপর আসামীগণ নাজিম উদ্দিন শিপন মেম্বারের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠ তদন্তের দাবী করেছেন।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য নাজিম উদ্দিন শিপনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করলে, তিনি কোন ফোন রিসিভ করেন নি।