ছবিঃ সংগৃহীত
রাজশাহীতে বীজ বিক্রির বৈধ অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও বৈধ আমদানিকারক ও অনুমোদন প্রাপ্ত ডিলারের প্যাকেট নকল করে বীজ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। আর এ অবৈধ কর্মকান্ডে রাজশাহী জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার সাজ্জাদ হোসেনের জড়িত থাকার অভিযোগ করেছেন ইয়াকুব ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল খালেক।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমি কৃষি মন্ত্রণালয়ের জাতীয় বীজ বোর্ড এবং মহাপরিচালক বীজ অনুবিভাগের নিকট হতে হাইব্রীড জাতের ভূট্টা বীজ বিশাল-৫৫৫ এবং বিরাট-৫৫৫ জাতের বীজ বিক্রির অনুমোদন পেয়েছি। এছাড়াও ভারত থেকে ৫৫ মে.টন বীজ আমদানির অনুমোদন কৃষি মন্ত্রণালয়ের বীজ শাখা-১ হতে আমাকে দেয়া হয়েছে। কিন্তু একই নামে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের বীজ বিক্রেতা শামীম বীজ ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী শামীম রেজা একই নামে এবং আমার বীজের প্যাকেট নকল করে বিভিন্ন জায়গায় বীজ বিক্রি করছে যা সম্পন্ন ভাবে অবৈধ।
আমি তার এমন অবৈধ কর্মকান্ড জানতে পেরে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কৃষি অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়। কিন্তু অভিযোগ দিলেও এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখিনি। ফলে শামীম বীজ ভান্ডার এখনো অবৈধ ভাবে আমার অনুমোদন প্রাপ্ত ও ভারত হতে আমদানিকৃত ভূট্টা বীজ বিক্রি করে চলেছে।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার আমার অভিযোগ পাওয়ার পর এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়ে রাজশাহী জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার বরাবর পত্র দিলেও তিনি কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। বরং জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার আমাকে তার অফিসে ডেকে বলেন, দুজনেই বীজ বিক্রি করেন কোন ঝামেলা কইরেন না। এতেই বুঝা যাচ্ছে জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার সাজ্জাদ হোসেন মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে শামীম বীজ ভান্ডারের স্বত্বাধীকারী শামীম রেজার সাথে যোগসাজসে অবৈধ ভাবে আমার অনুমোদন প্রাপ্ত ভূট্টা বীজ গুলো বাজারজাত অব্যাহত রেখেছেন।
এদিকে শামীম বীজ ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী শামীম রেজা এসব অভিযোগের বিষয়ে বলেন, আমার বৈধ কাগজ ও অনুমতি আছে। কোন অধিদপ্তর হতে অনুমতি নিয়েছেন তা জানতে চাইলে তিনি তা জানাতে পারেননি। তবে তিনি বলেন এই বিষয়ে আমি আপনার সাথে দেখা করে কথা বলবো মোবাইলে বলে বুঝানো যাবে না । এছাড়ও তিনি একটি মিটিং এ আছে বলে ব্যস্ততা দেখিয়ে কথা বলতে চাননি।
গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার মরিয়ম আহমেদ বলেন, এই বিষয়ে আমাদের নিজস্ব কিছু করণীয় থাকে না তাই জেলা বীজ প্রত্যায়ন অফিসারকে বিষয়টি দেখার জন্য পত্র দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল হায়াত হলেন, কেউ যদি অবৈধ ভাবে বীজ বিক্রি করে তাহলে অবশ্যই আমি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো। আগামী সোমবার অফিস খুলবে আমি গুরুত্ব সহকারি বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে অবৈধ কারবারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।
রাজশাহী জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার সাজ্জাদ হোসেন এসব অভিযোগের বিষয়ে বলেন, আমি ইয়াকুব ট্রেডার্সকে বলেছিলাম আপনারা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন মামলা করেন। এসব বিষয়ে তাদেরই ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে তারা কেনো করেনি সেটা তাদের ব্যাপার। শামীম বীজ ভান্ডার কে বীজ বিক্রি করার জন্য ইয়াকুব ট্রেডার্সকে অফার করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না না আমি এসব বলিনি। আমি তাদের নিষেধ করেছি। এখনি আমি আবারও নিষেধ করে দিচ্ছি বলে জানান।’
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh