কক্সবাজারে শারদীয় দুর্গোৎসব নির্বিঘ্নে উদযাপন নিশ্চিত করতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মণ্ডপে মণ্ডপে বাড়ানো হয়েছে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। সনাতন সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন মণ্ডপ ঘুরে দেখছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টিম।
এবার কক্সবাজারে ৩২১টি পূজা মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) শারদীয় দুর্গাপূজার বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে সনাতনী হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা।
কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি রতন দাশ জানান, এবছর কক্সবাজারে ৩২১টি পূজা মণ্ডপের উদযাপিত হবে। ১৫০টি প্রতিমা পূজা ও ১৭১টি ঘট পূজা। কক্সবাজার সদর উপজেলায় ৩২টি, কক্সবাজার পৌর এলাকায় ১২টি, রামুতে ৩৬টি, চকরিয়ায় পৌর এলাকাসহ ৮৯টি, পেকুয়ায় ৯টি, কুতুবদিয়ায় ৪৫টি, মহেশখালী পৌর এলাকাসহ ৩৪টি, উখিয়ায় ১টি, উখিয়া কুতুপালং হিন্দু রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১টি ও টেকনাফ উপজেলা (পৌর এলাকাসহ) ৬টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। ৮ অক্টোবর অধিবাসের মাধ্যমে শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হয়ে, ৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠী, ১০ অক্টোবর মহ-সপ্তমী, ১১ অক্টোবর মহাষ্টমী, ১২ অক্টোবর মহানবমী, ১৩ অক্টোবর, বিজয়া দশমী প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শারদীয় দুর্গাপূজার শেষ হবে।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উদয় শংকর পাল বলেন, আমরা ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছি পূজা মণ্ডপে ভক্তিমূলক ও ধর্মীয় গান ছাড়া অপ্রাসঙ্গিক গান বাজনা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়াও প্রত্যেক মণ্ডপে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক টিম দিন – রাতে দায়িত্ব পালন করবে। আযান ও নামাজের সময় বাদ্যযন্ত্র বন্ধ রাখার বিষয়টিও জানানো হয়েছে। যেসব ক্ষেত্রে খোলা জায়গায় অস্থায়ী প্যান্ডেলে দুর্গাপূজা করা হবে সে ক্ষেত্রে সরকারের দেওয়া বিধি মেনে সকলের সাথে সমন্বয় করে পূজা আয়োজনের ব্যবস্থা করার বিষয়টিও জানানো হয়েছে।
কক্সবাজার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, মণ্ডপ গুলোতে আগের তুলনায় এবার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এজন্য স্বেচ্ছাসেবকদের পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। যে কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গোয়েন্দা নজরদারি করবে সাদা পোশাকধারী পুলিশ।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘দুর্গাপূজা উপলক্ষে কক্সবাজারের বিভিন্ন পূজামণ্ডপে নাশকতা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পরিকল্পনাকারীদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে। এতে অতিরিক্ত টহল জোরদার করবে র্যাব।