মাদারীপুরে চাঞ্চল্যকর ইকবাল বেপারী হত্যা মামলার প্রধান আসামী সুলতান সরদার (৫০) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব ৮। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বরিশালের গৌরনদী উপজেলার শরিকল বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সুলতান সরদার সদরের চরখাগদী গ্রামের হাসেম সরদারের ছেলে।
র্যাব জানায়, মাদারীপুর সদরের চরমুগরিয়া এলাকার ইকবাল বেপারী এর সাথে সুলতান সরদারের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এরই জেরে গত ২৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে চরমুগরিয়া বাজারের সেলিম সুপার মার্কেটে ইকবাল বেপারীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায় সুলতান সরদারসহ তার সহযোগীরা। হামলা চালিয়ে ইকবালের দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাট করে। এক পর্যায়ে ইকবাল বেপারী কে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। এসময় ব্যাপক হাত বোমার বিষ্ফোরণ ঘটায় সন্ত্রাসীরা। পরে স্থানীয়রা আহত ইকবাল বেপারী কে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
র্যাব আরো জানায়, বরিশাল ও মাদারীপুর ক্যাম্পের যৌথ সমন্বয়ে গোপন সূত্রে ও তথ্য প্রযুক্তি সহায়তায় সুলতান সরদার কে গৌরনদীর শরিকল বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে সদর মডেল থানার একাধিক মামলা রয়েছে। মামলা নং ৫১। পরে তাকে ১৪৩, ১৪৭, ৪৪৮, ৩২৫, ৩২৬, ৩০২, ৩০৭, ৩৮০, ৪২৭, ৪৩৬, ১১৪/৩৪ ধারায় পেনাল কোডে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে মাদারীপুর সদর থানায় হত্যা, নারী নির্যাতন, মাদক ও দাঙ্গা হাঙ্গামা সহ মোট আটটি মামলা রয়েছে। যার নম্বর: সদর থানার মামলা নং-৬, ৪/১০/১৭; ধারা-৩০২/৩৪ ও মামলা নং-৬২, ২৪/০২/২০৪; ধারা-১৪৩/৩৪১/৩২৬/৩০৭/৫০৬/১১৪ পেনাল কোড। সদর থানার মামলা নং-১৬, ১৫/০১/২০; ধারা-৩৬(১) সারিণর ১০(ক)/৪১ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ২০১৮, সদর থানার মামলা নং-২২, ১১/০২/১৬; ধারা-১৯(১) এর ৯(খ)/২৫ ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন, সদর থানার মামলা নং-২৭, ২৩/০২/২০; ধারা-৩৬(১) সারিণর ১০(ক)/৪১ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ২০১৮; সদর থানার মামলা নং-৭, ০৪/০৬/১৫; ধারা-১৯(১) এর ৯(খ) ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন; সদর থানার মামলা নং-৬৯, ২৩/০৮/১৪; ধারা- ৯(৪)(খ) ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংেশাধনী ২০০৩; তৎসহ ৩২৩ পেনাল কাড-১৮৬০ এবং সদর থানার মামলা নং-১৬, ১১/০১/২৪; ধারা-১৪৩/১৮৬/৩৩২/৩৩৩/৩৫৩/৩৪ পেনাল কোড, তৎসহ ৩/৪ বিষ্ফোরক উপাদানাবলী আইন, ১৯০৮।
এছাড়া এলাকায় খোজ নিয়ে জানা যায়, সুলতান সরদার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত রোমান বেপারী হত্যার ঘটনায় জড়িত ছিলেন। এছাড়াও তিনি র্যাবের ক্রসফায়ার তালিকায় ছিলেন। অদৃশ্য শক্তির কারণে তালিকা থেকে তার নাম বাদ পড়ে।