কোটা সংস্কার ছাত্র-জনতার আন্দোলনে চট্টগ্রাম বহাদ্দার হাটে নিহত চট্টগ্রাম আশেকানে সরকারী আউলিয়া ডিগ্রী কলেজের ছাত্র শহীদ তানভীর ছিদ্দিকীর পরিবারের ব্যবসা প্রতিষ্টানের চিংড়ি মাছের ফিশিং, দোকানপাঠ ও বীর নিবাস ভেঙে জিনিসপত্র লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামীলীগের গডফাদারদের ছত্রছায়ায় থাকা কালারমারছড়ার ফকিরজুম পাড়া কেন্দ্রীক আর্দশ গ্রাম পরিচালনা কমিটি নামে ক্লাস বাহিনীর গ্যাং লিডার জুয়েলের বিরুদ্ধে। এসময় তারা একই কায়দায় কালারমারছড়া ইউনিয়ন বিএনপির নতুন কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে বলে জানিয়েছেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ।
গতকাল শনিবার (৫ অক্টোবর) রাত ৮ টা থেকে গভীর রাত ১২ টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। লুটপাঠ তাণ্ডব চলাকালে তারা কালারমারছড়া বাজারে ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। বাজারের ব্যবসায়ীরা জীবনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে দ্রুত দোকান পাঠ বন্ধ করে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়।
হামলা চলাকালে শহীদ তানভীর ছিদ্দিকী হত্যার আসামী তারেক চেয়ারম্যান, মাস্টার মাইন্ড নোমান শরীফ ও কালাবদার নেতৃত্বে মহড়া বসিয়েছেন সন্ত্রাসীরা বলে জানিয়েছেন শহীদ তানভীর ছিদ্দিকীর বড় ভাই মিজানুর রহমান মাতাব্বর।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বাইতুল্লাহ বলেন, ‘শনিবার রাত ৮ দিকে হঠাৎ জুয়েলের নেতৃত্বে ২০-৩০ জন সন্ত্রাসী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাজারের দোকান ঘরে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করে। পরে আরও শতাধিক লোকজন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলায় অংশ নেয়। ওই সময় তারা মাছের ফিশিং ভেঙে সব জিনিসপত্র তছনছ করে দিয়েছে। লুটে নেয় ব্যবসার কয়েক লাখ টাকাও। এর পর গিয়ে তারা রাত ১২ টার একটু আগে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য কল্যাণ সংস্থার সদস্যদের উপহার দেওয়া শহীদ তানভীর ছিদ্দিকীর বীর নিবাস ভাঙচুর করেন। এসব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি মনে করছেন সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী।
শহীদ তানভীরের পিতা কৃষক মোহাম্মদ বাদশাহ জানান, কালারমারছড়া বাজারের পূর্বপাশে ফকিরজুম পাড়া পাহাড়ে তারা আস্তানা গেড়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি। আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি। এর আগে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন ও করেছিলাম।
মহেশখালী থানার ওসি কাইছার হামিদ জানান, সন্ত্রাসীদের ধরতে অভিযান চলছে। আর অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক সংশ্লিষ্ট আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মহেশখালীতে কর্মরর্ত নৌ বাহিনীর লেফটেন্যান্ট সাইফুজ্জামান জানান, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান যে কোন মুর্হুতে গ্রেপ্তার করা হবে।