কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে হুমায়ুন (২০) নামের এক অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে করিমগঞ্জ থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর সকালে করিমগঞ্জ উপজেলার বাদে শ্রীরামপুর গ্রামে একটি গাছের বাগান থেকে মরদেহটি উদ্ধার উদ্ধার করা হয়। নিহত হুমায়ুন করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া ইউনিয়নের পূর্ব চরকরণশি গ্রামের উসমান মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে রোগী আনার কথা বলে অজ্ঞাত এক যাত্রী কিশোরগঞ্জ শহরের পুরানথানা থেকে হুমায়ুনের অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে করিমগঞ্জ জঙ্গলবাড়ীর দিকে যাচ্ছিলেন। যাত্রাপথে চালক হুমায়ুন তার ফুফাতো ভাই শামীমকে ফোন করে দেওয়ানগঞ্জ বাজারের কাছে থাকতে বলেন।
দেওয়ানগঞ্জ বাজারের কাছে গিয়ে শামীমকে অটোতে উঠতে বললে অজ্ঞাত যাত্রী তাকে বলেন, রোগী ও রোগীর সঙ্গে বেশি লোক থাকায় কাউকে নেওয়া যাবে না। পরে শামীমকে ছাড়াই অটো নিয়ে চলে যান হুমায়ুন। এরপর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলনা। দীর্ঘ সময়ে ও হুমায়ুন ফিরে না আসায় শামীম তার মোবাইল নম্বরে ফোন দেন। ফোন কিছুক্ষণ রিং বাজলে ও পরে বন্ধ হয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার সকালে সাড়ে ৬ টার দিকে বাদে শ্রীরামপুর গ্রামের জঙ্গলবাড়ি মহিলা কলেজের পাশে জনৈক মোস্তফার গাছের বাগানে হুমায়ুনের হাত-পা ও মুখ বাঁধা মরদেহ পাওয়া যায়। কিন্তু অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
করিমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহত হুমায়ুনের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হত্যাকারীদের গ্রেফতার চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।