যশোরের বাঘারপাড়ায় বিকৃত যৌনকর্ম করতে গিয়ে পাঁচ বছরের শিশু তাসনিয়া হত্যায় জড়িত ৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে যশোর পিবিআই। যৌন নিপীড়নের পর হত্যার কথা স্বীকার করেছে প্রধান আসামি। আসামিরা হলেন, ইশিতা আক্তার ঋতু (১৯), তার বাবা মোঃ তহিদুর রহমান (৫৫) ও মা নিরু বেগম (৪২)।
মামলার বাদি শিশু তাসনিয়ার বাবার অভিযোগ পত্র হতে জানা যায়, গত ২০ জুলাই দুপুর ১২টা হতে পরদিন ভোর ৫.৩০ টার মধ্যে যে কোন সময় অজ্ঞাতনামা আসামীরা অজ্ঞাত স্থানে বাদীর মেয়ে শিশু তাসনিয়ার সাথে বিকৃত যৌনকর্ম করার পর তাকে গলা ও নাক মুখ চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। গোপন করার জন্য আসামীরা রাতের আধারে মৃতদেহ রাজ্জাক খাঁর পুকুরের পশ্চিম-দক্ষিণ কোনায় ফেলে দেয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী ইশিতা আক্তার ঋতু হত্যার কথা স্বীকার করে জানায়, সে পর্ণোগ্রাফিতে আসক্ত। বাদীর মেয়ে তাসনিয়া খাতুন ঘটনারদিন সকাল অনুমান ১০.৩০টায় ঋতুদের বাড়িতে আসে। তারপর ঋতু শিশু তাসনিয়াকে তার রুমের মধ্যে নিয়ে জোর পূর্বক যৌন আসক্তি চরিতার্থ করতে থাকে। যৌনাঙ্গে আঘাতের কারনে শিশু তাসনিয়া চিৎকার করতে থাকলে ইশিতা আক্তার ঋতু তাকে চড়-থাপ্পড় মারে। মারপিট করার কারণে আহত শিশু তাসনিয়া গোংড়াতে থাকে। একপর্যায়ে আসামী ইশিতা আক্তার ঋতু তাদের ঘরে থাকা শাবল দিয়ে তাসনিয়ার মাথার পিছনের আঘাত করে এবং গলা চেপে শ্বাসরোধ করতঃ হত্যা করে। পরবর্তীতে শিশু তাসনিয়ার হত্যাকান্ডের বিষয়টি ইশিতা আক্তার ঋতু তার বাবা তহিদুর রহমান (৫৫) ও মা নিরু বেগমকে (৪২) জানায়। তারপর তারা পরস্পর পরামর্শ করে লাশ প্রথমে তাদের ঘরের মধ্যে রক্ষিত প্লেনশীটের বাক্সের মধ্যে লেপ পেঁচিয়ে রাখে। ঐ দিন অর্থাৎ ২১ জুলাই দিবাগত রাত্র ০২.৩০ ঘটিকায় তাসনিয়ার লাশ গোপন করার উদ্দেশ্যে তাদের বাড়ীর পার্শ্ববর্তী জনৈক রাজ্জাক খাঁর পুকুরে ফেলে দেয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন পিপিএম।