কুমিল্লার চান্দিনায় এবার ৬৫টি মন্দিরে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এরইমধ্যে মন্দিরগুলোতে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। শুধুমাত্র রং তুলির কাজ বাঁকি রয়েছে। আগামী ১০ অক্টোবর মহা সপ্তমীর মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হবে। পূজায় সরকারি সহায়তায় সাড়ে ৩২ মে.টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়।এ বছর দেবী দোলায় (পালকি) আগমন আর দশমী শেষে ঘোটকে (ঘোড়ায়) প্রস্থান করবেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়,চান্দিনা উপজেলার চান্দিনা পৌরসভায় ১২টি,শুহিলপুর ইউনিয়নে ১টি,বরকইট ইউনিয়নে ৩টি,বরকরই ইউনিয়নে ৪টি,এতবারপুর ইউনিয়নে ১টি,কেরনখাল ইউনিয়নে ৮টি,মাধাইয়া ইউনিয়নে ২টি,মহিচাইল ইউনিয়নে ৭টি,মাইজখার ইউনিয়নে ১১টি,বাড়েরা ইউনিয়নে ৭টি,গল্লাই ইউনিয়নে ৭টি, জোয়াগ ইউনিয়নে ২টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।তবে এবার দোল্লাই নোয়াবপুর ও বাতাঘাসী ইউনিয়নে কোন পূজামন্ডপ নেই।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটি চান্দিনা উপজেলা শাখার সভাপতি দিপক আইচ জানান,চান্দিনায় এবার ৬৫টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।এর মধ্যে অধিক গুরুত্বপূর্ন পূজা মন্ডপ ৩০টি,গুরুত্বপূর্ন ২৫টি,সাধারণ ১০টি। প্রতিমা তৈরী (কারিগর দ্বারা) ২৫ টি,রেডিমেট প্রতিমা ৩২ টি।স্থায়ী পূজা মন্ডপ ৪৭টি,স্থায়ী প্রতিমা ৮টি,অস্থায়ী পূজা মন্ডপ ১৮টি।
এদিকে শারদীয় দূর্গা পূজায় আইন শৃখংলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে।পুলিশ জানায়,হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে পালনের সুবিধার্থে চান্দিনা থানা পুলিশের পক্ষ থেকে কয়েক স্তরের নিরাপত্তার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।এবার পুলিশ,কমিউনিটি পুলিশ,আনসার,স্থানীয় পূজা কমিটি,স্বেচ্ছাসেবক টিম নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে।তাছাড়াও পূজা উপলক্ষে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
চান্দিনা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. নাজমুল হুদা জানান, যে কোন সময়ের তুলনায় এ বছর প্রতিটি পূজা মন্ডপে বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আনসার, পুলিশ, র্যাব এর পাশাপাশি কঠোর অবস্থান থাকবে সেনাবাহিনীও। এছাড়া সাদা পোশাকেও অবস্থান নিবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) নাজিয়া হোসেন জানান,প্রশাসনের পাশাপাশি মন্ডপ কর্তৃপক্ষও যেন আরও সজাগ দৃষ্টি রাখাসহ যে কোন গুজব এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়া পূজা মন্ডপগুলোতে উচ্চশব্দের সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার বন্ধ রাখার ও মন্ডপস্থলে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের আহবান জানানো হয়। যে কোন পরিস্থিতিতে প্রশাসনের সাথে দ্রুত যোগাযোগ নিশ্চিত করতে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাগণ তাদের সরকারি ফোন নম্বরের পাশাপাশি ব্যক্তিগত ফোন নম্বরও প্রদান করা হয়েছে।