চাঁদপুরের মতলব উত্তরে মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী ড্রেজার সুকানির মিথ্যা অভিযোগে নিরীহ এলাকাবাসীকে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে ৷
জহিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য ইউসুফ বেপারী ও আলা উদ্দিন, এবং স্থানীয় বাসীন্দা জিয়া উদ্দিন সরকার,দেলোয়ার সরকার, আলমগীর হোসেন,বাহাদুর বেপারী,কবির সরকার জানান,গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে নদীতে মাছধরা জেলেদের মাধ্যমে জানতে পারি জহিরাবাদ ইউনিয়নের চরউমেদ এলাকায় মেঘনা নদী থেকে এম,বি আনাস ড্রেজিং প্রকল্প -৩ নামক একটি ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করাহচ্ছে ৷
তাৎক্ষনিক আমরা এখলাছপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: মফিজুল ইসলাম মুন্না ঢালী ,উপজেলা প্রশাসন এবং মোহনপুর নৌ- পুলিশকে বিষটি জানাই এবং প্রশাসন ঘটনাস্থলে আসার পুর্বে ড্রেজােরের সুকানি ড্রেজার নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চোষ্টা করলে আমরা এলাকাবাসী ড্রেজারটি নদীর মাঝখান থেকে এখলাছপুর লঞ্চঘাটে নিয়ে এসে নঙ্গর করে রাখি খেখান থেকে মতলব উত্তর উপজেলা প্রশাসন ও মোহনপুর নৌ-পুলিশ এম,বি আনাস ড্রেজিং প্রল্প- ৩,ও এম,বি নূর সাইবা নামক বাল্কহেডটি উদ্ধার করে প্রশাসনের হেফাজতে নিয়ে যান ৷
ড্রেজার নিয়ে পালানোর সময় ড্রেজারের সুকানি মোহাম্মদ আনিস মুন্সি পা পিছলে ড্রেজারেই পড়ে ব্যাথা পান আমরা চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলাম মুন্না ঢালীকে জানাই এবং তার নির্দেশে ড্রেজারের সুকানি মোহাম্মদ আনিস কে এখলাছপুর বাজারে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই এবং তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করি ৷
তারা আরো বলেন, আমরা আমাদের গ্রাম ও চর বাচাঁতে বালু উত্তলোনে বাধাঁ দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধকরা এবং বালু উত্তোলন কারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সব সময় প্রশাসানকে অবহিত করি এবং সহযোগীতা করে আসছি ৷
কিন্তু একটি দুস্কৃতকারী বালু সিন্ডিকেট আমরা চাঁদা চেয়েছি বলে আমদেরকে সমাজে হেয় করার চেষ্টা করছে আমরা কারো কাছে কখনো চাঁদা দাবি করিনাই মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করে আমাদেরকে এলাকা থেকে দুরে রেখে আবারো বালু কাটার সুযোগ খোচ্ছে ঐ বালু সিন্ডিকেট যারা আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে তাদেরকে আমরা নিন্দা জানাই এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রশাসেন দৃস্টি কামনা করছি ৷
তারা বলেন, এই ঘটনার পরের দিন আবারো মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলনকারী কয়েকটি ড্রেজার এবং জহিরাবাদের স্থানীয় জনৈক ব্যক্তির বালু সিন্ডিকেট এর কাজে ব্যবরিত একটি স্প্রিট বোট জব্দ করেছেন মোহনপুর নৌ- পুলিশ।
মোহনপুর নৌ-পুলিশ সূত্র জানায় এম,বি আনাস ড্রেজিং প্রকল্প ৩,ও এম,বি নূর সাইবা বাল্কহেডটি জব্দ করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে৷ ড্রেজারের সুকানি মোহাম্মদ আনিস মুন্সির সাথে ০১৮২২৮৯৬২২৬ এই নাম্বারে একাদিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টাকরেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এখলাছপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: মফিজুল ইসলাম মুন্না ঢালী বলেন, কোন অবস্থাতেই নদীতে কাউকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতে দেওয়া হবে না ৷ কয়েক দিন পুর্বে চরউমেদ এলাকায় এম, বি আনাস ড্রেজিং প্রকল্প ৩ নামক একটি ড্রেজার দিয়ে বালু কাটার সময় এলাকাবাসী আমাকে এবং প্রশাসনকে জানায় পরে প্রশাসন ও মোহনপুর নৌ- পুলিশ এসে এম,বি আনাস ড্রেজিং প্রকল্প ৩, এবং এমবি নূর সাইবা নামক বাল্কহেড টি জব্দ করেন।
স্থানীয় বাসীন্দা জহিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য ইউসুফ বেপারী ও আলা উদ্দিন, এবং স্থানীয় বাসীন্দা জিয়া উদ্দিন সরকার,দেলোয়ার সরকার, আলমগীর হোসেন,বাহাদুর বেপারী,কবির সরকার ড্রেজারের সুকানির কাছ থেকে চাঁদা চেয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট ৷ প্রশাসন ড্রেজারটি জব্দ করার সময় আমি নিজেও সেখানে উপস্থিত ছিলাম ৷
মতলব উত্তর উপজেলার ( সহকারী কমিশনার ভূমি) হিল্লোল চাকমা বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে আমরা এখলাছপুর লঞ্চঘাট এলাকা থেকে এম,বি আনাস ড্রেজিং প্রকল্প ৩ ও এমবি নুর সাইবা বাল্কহেডটি উদ্ধার করে প্রশাসনের হেপাজতে নিয়ে আসি।
মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কারীদের বিরুদ্ধে আমরা সবসময় ব্যবস্থা নিয়ে আসছি এবং অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কারীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে ৷