ফেসবুকে লাইভ দেয়াকে কেন্দ্র করে গুরুদাসপুরের এক সংখ্যালঘু পরিবারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. দুলাল সরকার ও তার কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। থানায় ডায়েরী করতে গেলেও তাদেরকে লাঞ্চিত করা হয়। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় অভিযোগ দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী মদন শর্মা ও তার পরিবার।
শনিবার বিকেল ৪টায় পৌর সদরের চাঁচকৈড় বাজারপাড়া মহল্লার নিজ বাড়িতে ওই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
মদন শর্মা বলেন, ফেসবুকে লাইভ দেয়ার পর থেকে হুমকি প্রদান অব্যাহত আছে। দুলাল সরকারের আত্মীয় প্রতিবেশী মিন্টু জামাদার ও মিলন প্রামাণিকের নেতৃত্বে আমার বাড়িতে এসে হুমকি দেয়া হয়েছে। এসময় ইটপাটকেল ছুঁড়েন তারা।
তিনি আরো বলেন, গত বৃহস্পতিবার গুরুদাসপুর থানায় ঢুকে সাধারণ ডায়েরী করতে গেলে তাকে বাধা দেন পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. দুলাল সরকার ও তার কর্মীরা। এসময় থানার মধ্যে পৌর বিএনপির সভাপতি মশিউর রহমান বাবলু উপস্থিত ছিলেন। মদন শর্মা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এরপরও তাকে বিভিন্নভাবে মারধরের হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে গণমাধ্যমকর্মীদের জানান। মদন শর্মা উপজেলার চাঁচকৈড় বাজারপাড়া মহল্লার স্বর্গীয় সাধন শর্মার বড় ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মদনের স্ত্রী শ্যামলী শর্মা বলেন, আমরা হুমকি ধামকির উর্ধে থেকে স্বাভাবিক জীবনের নিরাপত্তা চাই।
অভিযোগ অস্বীকার করে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দুলাল সরকার বলেন, মদন শর্মা ভারসাম্যহীন ব্যাক্তি। প্রতিদিন মদ্যপায়ী অবস্থায় থাকেন তিনি। তার সাথে কোনো দ্ব›দ্ব নেই, হুমকি দেয়ার প্রশ্নই আসেনা।
দুলাল আরো বলেন, আগামী পৌর নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেয়ায় আমার বিরুদ্ধে পৌর বিএনপির সভাপতি মশিউর রহমান বাবলু বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করছেন। মদন শর্মার মতো ভারসাম্যহীন ব্যাক্তিকে দিয়ে আমার ইমেজ ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
মদন শর্মাকে থানার মধ্যে বাধা প্রদান ও লাঞ্চিত করার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পৌর বিএনপির সভাপতি মশিউর রহমান বাবলু। তিনি বলেন, ঘটনা ওসি সাহেবের রুমে। আমি নিবৃত করার চেষ্টা করেছি। দুলাল মেয়র হওয়ার স্বপ্নে বিভোর। তাই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলতেই পারেন।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।#