টানা তিন দিনের বৃষ্টি ও উজানে ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যার আশঙ্কা করছেন তিস্তা পাড়ের মানুষ। পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রেখেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
শনিবার দুপুর ১২টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার মাত্র ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এরআগে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১দশমিক ৮৩ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমা ৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)। তিস্তায় পানি বৃদ্ধিতে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন।
গত তিনদিন ধরে প্রচুর বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে উত্তরের জেলা লালমনিরহাটে। কখনো হালকা, কখনো মাঝারি, কখনো আবার ভারী বৃষ্টি । এতে জনসাধারণের মাঝে যেমন স্বস্তি ফিরে এসেছে, তেমনি খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষ কাজে যেতে না পেরে পরেছে চরম বিপাকে।
প্রতিদিনের বৃষ্টিপাত আর উজানের ঢলে তিস্তাসহ সব নদ-নদীর পানির পাশাপাশি বিলের পানি বৃদ্ধিও অব্যাহত আছে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাট ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে। সেইসঙ্গে ফসলি জমিতে পানি ওঠায় নষ্ট হচ্ছে আগাম শীতকালীন শাকসবজি ও বীজতলাসহ বিভিন্ন ফসল।
এমতাবস্থায় লালমনিরহাট,কুরিগ্রাম,নীলফামারী জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ।