নগরজুড়ে যত্রতত্র পোস্টার-ব্যানার লাগানোর কারণে সিলেটের সৌন্দর্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি স্থাপনা, বৈদ্যুতিক খুঁটি এবং বাসা-বাড়ি কিছুই বাদ যায়নি এর কবল থেকে। পোস্টার-ব্যানারে নগরীর বিভিন্ন দেয়াল, বিদ্যুতের খুঁটি যেন প্রায় ঢাকা পড়েছে। অলিতে-গলিতে রাজনৈতিক প্রচারণা, কোচিং সেন্টারের বিজ্ঞাপন এবং নানা ধরনের বাণিজ্যিক প্রচারণায় ভরে উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ দেয়াল লিখন বা পোস্টার লাগানো নিষেধ প্রদান করলেও ঐতিহ্যবাহী সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ, মদন মোহন সরকারি কলেজ ও মুরারি চাঁদ কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মূল ফটক বিভিন্ন পোস্টারে ঢাকা। এছাড়া বিদ্যুতের খুঁটি, ফুটপাতের আশপাশ এবং বাসাবাড়ির দেয়ালেও একই দৃশ্য। রাজনৈতিক নেতা, কোচিং সেন্টার, বাসা ভাড়া, চাকরি, ঔষধসহ বিভিন্ন বিজ্ঞাপন প্রচারের পোস্টারগুলো নগরীর নান্দনিকতা নষ্ট করছে।
এ প্রসঙ্গে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী আনিকা রাইদাহ জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ হওয়া উচিত পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর। তবে এসব বিজ্ঞাপনি পোস্টারের কারণে বিদ্যালয়ের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের নজরদারি বাড়াতে হবে।
সিলেটে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট জাকের হোসেন বলেন, নগর কর্তৃপক্ষ অনুমোদিত যেসব জায়গায় বিজ্ঞাপন দেওয়ার কথা রয়েছে, এর বাহিরে যেসব প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞাপন ব্যানার বা সাইনবোর্ড লাগাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাছাড়া যদি নগর কর্তৃপক্ষ প্রয়োজন মনে করে তাহলে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য আরও কিছু নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করতে পারে। এতে করে নগরীর সৌন্দর্যহানির ঘটনা এড়ানো সম্ভব হতো।
এ ব্যাপারে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরও নগর কর্তৃপক্ষ অনুমতি ছাড়াই বিভিন্ন জায়গায় বিজ্ঞাপনি ব্যানার-পোস্টার লাগানো হয়। এসব পোস্টার-ব্যানার অপসারণের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এরপরও যদি কোন জায়গায় অপসারণ না করা হয়, সেসব জায়গায় থেকে দ্রুতই এসব পোস্টার-ব্যানার অপসারণ করা হবে।