× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা জামায়াত বিনোদন বিপিএল বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও ঘটনাবহুল ২০২৪ সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

সালথায় ঝুঁকি নিয়ে সেতু পারাপার; ভোগান্তিতে ১০ গ্রামের মানুষ

জাকির হোসেন, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি।

২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:৩২ পিএম

ছবিঃ জাকির হোসেন

ফরিদপুরের সালথায় কাগদী বাজারের প্রবেশ মুখে খালের ওপর নির্মিত সেতুর পাটাতন ভেঙ্গে দেবে রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে বেরিয়ে গেছে রড। সেতুর দুই পাঁশে নেই রেলিং। পিলার-পাটাতনের পলেস্তার ওঠে গেছে। সেতুর ভেঙে যাওয়া অংশে মাত্র এক টুকরো কাঠের মাচল বিছিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন অন্তত ১০টি গ্রামের হাজারো মানুষ। প্রায় একযুগ ধরে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকলেও যেন দেখার কেউ নেই। যেকোনো সময় সেতুটি ভেঙে পড়ে বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এমন অবস্থায় সেতুটি পুন:নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

জানা গেছে, মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মধ্যে সব চেয়ে বড় হাট কাগদী বাজার। প্রতি সপ্তাহে দুই দিন এখানে হাট বসে। হাটের দিন আশপাশের অন্তত ১০টি গ্রামের হাজারো মানুষের মিলন-মেলা ঘটে এই বাজারে। বাজারের পাশেই রয়েছে কাগদী উচ্চ ও প্রাথমিক বিদ্যালয়। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বড় বাজারের প্রবেশ মুখে খালের ওপর অন্তত ৫০ বছর আগে ৬০ ফিট দৈর্ঘ্য ও ৭ ফিট প্রস্থের এ সেতুটি নির্মাণ করা হয়। যদিও সেতুটি ছোট হওয়ায় নির্মাণের পর থেকে সেতুটির ওপর দিয়ে বড় যানবাহন চলাচল করতে পারেনি। তবে ভ্যান ও অটোরিক্সা চলাচল করতো।

কাগদী বাজারের ব্যবসায়ী নাজমুল মাতুব্বর বলেন, সেতুটি প্রায় একযুগ ধরে ভেঙে দেবে রয়েছে। এমন অবস্থায় বাড়ি থেকে বাজারে ভ্যানযোগে চলাচল থাক দূরের কথা পায়ে হেটে চলতেও ভয় লাগে। তারপরেও বাধ্য হয়ে সেতুর পাটাতনের ভেঙে যাওয়া অংশে কাঠের মাচল বিছিয়ে ঝুঁকি নিয়ে সেতু পার হচ্ছে মানুষ। সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সব চেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থী ও কৃষকরা। শিক্ষার্থীরা সেতুটি পার হওয়ার সময় কাঁপতে থাকে। আর কৃষকরা যানবাহনে করে কৃষিপণ্য নিয়ে বাজারে প্রবেশ করতে পারে না। কৃষকরা তাদের কৃষিপন্য মাথা করে এনে বাজারজাত করেন।

সুমন ইসলাম নামে স্থানীয় এক শিক্ষার্থী বলেন, একদম ছোট বেলা থেকে সেতুটি এমনভাবে পড়ে থাকতে দেখছি। আমরা নিয়মিতই আতঙ্ক-ভয় নিয়ে সেতুটি পার হই। বিশেষ করে শিশু শিক্ষার্থীরা তো একা এই সেতু পারই হয় না। অভিভাবকরা তাদের কোলে করে স্কুলে দিয়ে-নিয়ে আসে। এমন অবস্থায় ওই খালের ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি অপসারন করে নতুন একটি বড় ব্রিজ নির্মাণের জোর দাবি জানাচ্ছি। যদি একটি বড় ব্রিজ ওখানে নির্মিত হয়, তাহলে হাজারো মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে।

সালথা উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবু জাফর মিয়া বলেন, সেতুটির মেয়াদ অনেক আগেই উত্তীর্ণ হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা ওখানে নতুন সেতুটি নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছি। প্রস্তাবটি পাস হলে যত দ্রæত সম্ভব, সেতুটি নির্মাণ করা হবে।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.