ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চোর সন্দেহে ফজলুল হক মুসলিম হলের অতিথিকক্ষে আটকে রেখে তোফাজ্জল নামের একজন ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠলে,বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের সুপারভাইজার মোহাম্মদ আমানুল্লাহ শাহবাগ থানায় মামলা করেন। মামলা তদন্তে ঘটনায় জড়িত এখন পরর্যন্ত মোট ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন,ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জালাল মিয়া (২৫), মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী সুমন মিয়া (২১), পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মো. মোত্তাকিন সাকিন, গণিত বিভাগের আহসান উল্লাহ (২৪) এবং জিওগ্রাফির আল হোসেন সাজ্জাদ ।আজ রাতে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ওয়াজিবুল আলম নামের আরো একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
উল্লেখ্য যে, চোর সন্দেহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের অতিথিকক্ষে আটকে রেখে, একদল শিক্ষার্থী তোফাজ্জল নামের একজন ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করে বলে অভিযোগ উঠেছে । গতকাল বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা কয়েক ঘণ্টা ধরে দফায় দফায় মারধর করার একটি ভিডিও চিত্র ফাঁস হয়েছে। এরপর গতকাল দিবাগত রাত ১২টার দিকে কয়েকজন শিক্ষার্থী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফারুক বলেন, হাসপাতালে নিয়ে এলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা কর হলে লাশটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়।
পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ফজুলল হক হলের আবাসিক শিক্ষক আলমগীর কবিরকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করেন হল প্রাধ্যক্ষ শাহ্ মো. মাসুম। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন আবাসিক শিক্ষক মোহাম্মদ শফিউল আলম খান, শেখ জহির রায়হান, মো. মাহাবুব আলম, আছিব আহমেদ, সহকারী আবাসিক শিক্ষক এম এম তৌহিদুল ইসলাম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর (বিজ্ঞান অনুষদ) এ কে এম নূর আলম সিদ্দিকী।