মহেশখালী উপজেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে তই তই করছে পানি। এতে শতাধিক ঘরবাড়ি ও দোকানপাট প্লাবিত হয়ে পানিতে ডুবে গেছে। পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তলিয়ে গেছে দুই শতাধিক মিষ্টির পানের বরজ। বাঁধের ওপর উপর দিয়ে পানি ঢুকায় তোপে ভেসে গেছে মৎস্য প্রকল্পের লাখ লাখ টাকা চিংড়ি মাছ। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মৎস্য চাষীরা।
উপজেলার মাতারবাড়ি নিচু এলাকার ঘরবাড়ি পানির নিচে অথৈ জলে ভাসতেছে। রাঙ্গাখালী এলাকা দিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টিতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এখানে বেশ কয়েকটি মার্কেটে পানি ঢুকে মালামাল নষ্ট হয়েছে। বন্ধ রয়েছে পুরো দ্বীপের বিদ্যুৎ সংযোগ।
অপরদিকে, কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর নলবিলা দরগাহ ঘোনা কবরস্থানে ও বৃষ্টির পানির ঢলে তলিয়ে গেছে। মহেশখালী পৌরসভার চরপাড়া, কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাঙ্গা ও শাপলাপুর ইউনিয়নের বারিয়াপাড়া এলাকায় বাড়িঘরে পানি উঠে প্লাবিত হয়েছে। এতে নিম্নাঞ্চলের লোকজন চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।
পাহাড়ি ঢলের পানিতে হোয়ানক ইউনিয়নের হরিয়ার ছড়া ও বড়ছড়া এলাকার নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পাহাড়ি ঢলে বড় ছড়ার বাঁধ ভেঙে নূরানী মাদ্রাসা ও মসজিদসহ অর্ধশতাধিক বাড়িঘরে পানি উঠেছে এবং বিস্তর ফসলি জমিতে বালি উঠে নষ্ট হয়েছে আমন ফসল।
মাতারবাড়ির ইউপি চেয়ারম্যান এস এম আবু হায়দার জানান, ভারী বর্ষণে মাতারবাড়ী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থান জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। ইউনিয়নের প্রধান সড়কসহ ও উপসড়ক বৃষ্টির পানিতে ডুবে থাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ইউনিয়নের নতুন বাজার সড়কের দুপাশে দোকান পাটে পানি ঢুকে পড়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। সড়কের দুপাশে নালা না থাকায় পুরো এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। তবে পানি চলাচলের এসব নালা দীর্ঘদিন ধরে দখল রেখেছে প্রভাবশালীরা।
মহেশখালী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মীকি মারমা জানান, প্রবল বর্ষণে মহেশখালীতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে এখনোও পর্যন্ত ক্ষতির পরিমান জানা যায়নি। তবে বৃষ্টি থামলে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হবে।