কুমিল্লার হোমনা উপজেলার বড় ঘাগুটিয়া গ্রামে চাঞ্চলকর খুনের আসামী আক্তার হোসেন ওরফে সুমনকে (২৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে হোমনা পৌরসভার শ্রীমদ্দি চরেরগাঁও গ্রামের হক মিয়ার ছেলে। গতকাল শুক্রবার রাতে তার নিজ বাড়ি থেকে পুলিশের একটি চৌকস দল তাকে আটক করে। সে হত্যায় জড়িত থাকার দায় স্বীকার করেছে। তাকে কুমিল্লা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার বিকেলে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে তাঁদের লাশ হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতদের লাশ নিজ গ্রামে নিয়ে আসলে স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠে চারপাশ। এ সময় গ্রামের লোকজন লাশ একনজর দেখতে সেখানে ভিড় করে এতে শতশত মানুষ নিহতদের শেষ বারের মতো দেখতে ভিড় জমান। এরপর বিকেল পৌনে চার টায় গ্রামের বড় ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে সামাজিক কবরস্থানে তাঁদের লাশ দাফন করা হয়।
জানা যায়, গত বুধবার দিবাগত রাতের কোন এক সময়ে দুর্বৃত্তরা বড় ঘাগুটিয়া ভুঁইয়া বাড়ি গ্রামের শাহ পরানের স্ত্রী মাহফুজা বেগম (২৫) ও তার ছেলে শাহেদ (৮) পাশের বাড়ির তার মামাতো ভাসুর রেজাউল করিমের মেয়ে তিশা মনি (১৫)কে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
পুলিশ জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে একে একে ৩ জনকে মাথায় আঘাত করে ও গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে। পরে লাশ খাটের ওপর ফেলে পালিয়ে যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে এবং তিন খুনের সাথে অন্য কেই জড়িত না, সে একাই তিন জনকে খুন করে বলে পুলিশকে জানায়। হত্যার পিছনে মাহফুজা বেগমের সাথে টাকাপয়সা এবং পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে বলেও জানা যায়। এছাড়াও প্রাথমিক ভাবে মহিলা কে অন্তঃসত্তা মনে করা হলেও ময়নাতদন্ত রিপোর্টে মহিলা অন্তঃসত্তা ছিলো না।