জাতীয় দৈনিক সংবাদ সারাবেলায় সংবাদ প্রকাশের পর কিশোরগঞ্জ শহরের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিশোরগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিপদ ভঞ্জন বনিকের বিরুদ্ধে প্রায় কোটি টাকা অর্থ আত্মসাৎ ও বিভিন্ন দুর্নীতির প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাজী মহুয়া মমতাজ (শিক্ষা ও আইসিটি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো: আবু রাসেল এর নেতৃত্বে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও বেতন বাবদ ১২ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন এ প্রধান শিক্ষক। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রছায়ায় ২০২৪ সালের শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে ভর্তি বাবদ প্রতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৩০০ টাকা করে ৭,৩৪,৭০০ টাকা আত্মসাত করেন তিনি, যা রশিদের অন্তর্ভূক্ত এবং বিদ্যালয়ের তহবিলে জমা হয়নি। ২০২২-২৩ সালে শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির জরিমানার হার ৫ টাকার স্থলে ৫০ টাকা করে আদায় করে আত্মসাৎ করেন প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ছাত্রীদের ভর্তিকৃত আদায় টাকা ব্যাংকে জমা না করে আত্মসাৎ করেন তিনি। থার্মেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির মোল্লার অনুদানের ৫০ লক্ষ টাকার লভ্যাংশ গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের দেওয়ার কথা থাকলেও সেই টাকা না দিয়ে নিজেই আত্মসাৎ করেন। বিদ্যালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দোকান নির্মানে অতিরিক্ত ব্যয় দেখিয়ে তিনি টাকা নেন এবং বিদ্যালয়ের নিয়ম বহির্ভূতভাবে ব্যক্তিগতভাবে নিজ বাসায় নরসুন্দা শাখা নামে ভর্তির শাখা খুলে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন এই প্রধান শিক্ষক।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো: আবু রাসেল বলেন, ‘বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিপদ ভঞ্জন বনিকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত ও বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত হয়েছে। এ বিষয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ নেওয়া হবে। অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। তিনি তার জবাব না দিতে পারলে আমরা তার বিরুদ্ধে আইনআনুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।