প্রতিকী ছবি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক জনাব ইখতিয়ার উদ্দিন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীর লেখা নিজের নামে চালিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
আজ (২৯ আগস্ট) উপাচার্য বরাবর এ অভিযোগ পত্র জমা দেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।
সরকার ও রাজনীতি বিভাগের মাস্টার্সের (সেশন। ২০২১-২২) থিসিস গ্রুপের শিক্ষার্থী জেসমিন তার লিখিত বক্তব্যে জানায়, ২০২১ সালে আমি ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলাম। ৩য় বর্ষের ৩০৯ নং কোর্সের (Course Title: Political Economy of Bangladesh) কোর্স শিক্ষক জনাব ইখতিয়ার উদ্দিন ভূঁইয়া আমার একটি অ্যাসাইনমেন্টের প্রশংসা করেন। এর কিছুদিন পর হঠাৎ একদিন তিনি ফোন দিয়ে রচনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালে প্রকাশ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ইতোমধ্যে আমি অন্য আরেকজন সুপারভাইজারের তত্ত্বাবধানে রচনাটি প্রকাশ করার জন্য কাজ শুরু করি। । তিনি ঐ সুপারভাইজারের কাছ থেকে রচনাটি নিয়ে এসে তাঁর তত্ত্বাবধানে প্রকাশ করার জন্য বলেন। কাজেই অনিচ্ছা স্বত্বেও ঐ সুপারভাইজারের থেকে রচনাটি নিয়ে জনাব ইখতিয়ার উদ্দিন ভূঁইয়ার তত্ত্বাবধানে প্রকাশ করতে সম্মত হই।
কিছুদিন পর তিনি আমার রচনাটি কোনরূপ পরিবর্তন ছাড়াই "Becoming An Asian Tiger: What Lesson Bangladesh Can Get From East Asian Miracle?" শিরোনামে "International Journal of Social Science and Human Research" জার্নালে ২০২১ সালের মার্চ ইস্যুতে প্রকাশ করেন। তিনি আমার রচনাটি হুবহু প্রকাশ করার পরও আমাকে অবগত না করে তাঁর নাম প্রথম লেখক হিসেবে দিয়েছেন এবং আমার নাম দ্বিতীয় লেখক হিসেবে সংযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও তখন আমি ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী হওয়া স্বত্বেও তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার টাইটেলে মাস্টার্সের শিক্ষার্থী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। পরবর্তীতে টাইটেল সংশোধন করার অনুরোধ স্বত্ত্বেও তিনি তা সংশোধন করেননি। রচনাটি প্রাথমিক ড্রাফট হিসেবে থাকায় এবং পরে কোনরূপ এডিট না করায় 'Plagiarism' থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও আমার টাইটেলে ভুল থাকায় প্রকাশনাটি আমার ভবিষ্যৎ শিক্ষা এবং কর্মক্ষেত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ বলে আমি তখন থেকেই আশঙ্কায় থাকি। এই ঘটনায় তখন আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ি এবং এটি আমার শিক্ষা ও স্বাভাবিক জীবন-যাপনকেও ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্থ করে। বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর অবৈধ ক্ষমতাচর্চা এবং সুবিচার না পাওয়ার শঙ্কায় তখন আমি অভিযোগ করতে সাহস পাইনি। আমার সম্মতি ছাড়াই ভুল তথ্য ব্যবহার করে আমার একাডেমিক এবং ক্যারিয়ারকে হুমকির সম্মুখীন করায় জনাব ইখতিয়ার উদ্দিন ভূঁইয়া'র যথাযথ বিচার দাবি করছি।
সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক তারানা বেগম বলেন, আজকে আমরা একটা অভিযোগপত্র হাতে পেয়েছি। এটা এখনো আমি দেখতে পারি নাই। এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে, আমরা শিক্ষকরা মিটিং এর মাধ্যমে যথাযথ ব্যাবস্থা নেব।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহোযোগী অধ্যাপক ইখতিয়ার উদ্দিন ভূইয়া বলেন, এই লেখাটি জার্নালে প্রকাশের জন্য সে আমাকে বলেছিল, এবং সে একটি মডিফাইড কপি আমাকে মেইল করেছিল প্রকাশের জন্য। আর এই বিষয়টা নিয়ে তার যদি কোনো সংশয় থেকেই থাকে সে জার্নালে ফোন দিয়ে এটি উইথড্র করে নিলেই পারত। এটা শুধু একটা অনলাইন জার্নাল ছিল। আর এটা আমি আমার প্রোফাইল বা অন্য কোথাও সংযুক্ত করি নাই।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh