তৃতীয় দফা বন্যার কবলে মৌলভীবাজার জেলা। পানিবন্দী লাখ লাখ মানুষ। সবচেয়ে বেশি বন্যায় আক্রান্ত জেলার রাজনগর, কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া উপজেলা। জেলার প্রদান নদনদীর পানি ইতিমধ্যে কমতে শুরু করলেও নিম্নাঞ্চলের গ্রামগুলোতে পানি নামছে ধির গতিতে।
এতে প্রচন্ড দুর্ভোগের স্বীকার পানিবন্দী মানুষ। বিশেষ করে বন্যায় পানি বাহিত নানা রুগে আক্রান্ত হচ্ছেন প্রত্যান্ত অঞ্চলের পানিবন্দী মানুষ। এদের মধ্যে শিশু ও বয়স্করা রয়েছেন বেশ ঝুঁকিতে। বন্যার্ত মানুষের মধ্যে বেসরকারিভাবে ব্যাপক ত্রাণ তৎপরতা চললেও দুর্গত এলাকাগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক সহায়তা অনেকটাই অপ্রতুল। এ বিষয়টি মাথায় রেখে এবার মৌলভীবাজারে বন্যা পরবর্তী স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে প্রশিক্ষণ কর্মশালা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকাল ১১টায় থেকে দূপূর দেড়টা পর্যন্ত স্কুল-কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মৌলভীবাজার পৌর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় ওই কর্মশালা।
বাম ধারার ছাত্র সংগঠন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আয়োজনে বন্যা পরবর্তী স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনটির জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ নন্দীর সভাপতিত্বে এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম ছাত্রনেতা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাজীব সূত্রধরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) এর সাবেক সভাপতি ডাঃ এম এ আহাদ। প্রধান প্রশিক্ষক ছিলেন স্বাস্থ্য বিভাগের সাবেক পরিচালক ও জনবান্ধব চিকিৎসক ডাঃ সত্যকাম চক্রবর্তী।
প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন, মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের রেজিস্ট্রার ডাঃ জয়দীপ পাল ও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ সংঘ মিত্রা দে।
কর্মশালা আয়োজনের শুরুতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদ ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একমিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
প্রশিক্ষণ কর্মশালার অন্যতম উদ্যেক্তা ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাজীব সূত্র ধর জানান, আমরা বন্যা দুর্গত এলাকায় বানের পানিতে ভেসে আসা বিষাক্ত সাপের কামড় ও পানি বাহিত নানা রুগে আক্রান্তদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে কাজ শীঘ্রই শুরু করব। বিশেষ করে এই সেবাটি আমরা সবচেয়ে বেশি দুর্গত এলাকা রাজনগরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিশ্চিত করতে চাই।