সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প-২ এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মাহসড়ক চার লেন উন্নীতকরণ প্রকল্পের অধিনে অধিগ্রহণকৃত জায়গার জন্য ভূমি মালিকদের টাকা দিয়েছে সরকার। এরপরও রাস্তার ড্রেন ও পাশের জায়গা দখল করে নির্মান করা হচ্ছে স্থায়ী স্থাপনা। রাস্তার কাজের পর যেহেতু সরকার জায়গা ফাঁকা রেখেছে, সেই পরিত্যক্ত জায়গা তাদের অধিকার রয়েছে বলে দাবী করেছে অবৈধ দখলদাররা।
বগুড়ার শেরপুরের বাসস্ট্যান্ডে মহাসড়কের ফলপট্টি এলাকায় অবৈধ দখলদারদের প্রকাশ্যে স্থায়ী স্থাপনা নির্মান করছে এমন চিত্র দেখা গেছে।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, মহাসড়কের পূর্ব অংশে হাটখোলা রোড সংলগ্ন ফলপট্টি এলাকায় কাজ করেছন কিছু শ্রমিক। তারা ইট দিয়ে কিছু ঘর নির্মাণ করছেন। তারা জানান বাসস্ট্যান্ড ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হিরু, পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক তরিকুল ইসলাম সম্রাট, সোহানুর রহমান, হাফিজুর রহমান ও নূর জাহান বেগম তাদের এই কাজ করতে বলেছেন।
তবে তাদের স্থাপনা তৈরিকে অবৈধ ও জোরপূর্বক’ এমনকি অবৈধভাবে ফলের দোকান বসিয়ে দিয়ে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা চাদা আদায়ের প্রচেষ্টা বলে দাবি করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়িরা।
স্থানীয় ব্যবসায়ী তাজমিলুর রহমান তুহিন বলেন, “মহাসড়ক প্রশস্ত করার জন্য সরকার তাদের জায়গা ও স্থাপনা অধিগ্রহণ করেছে। এর জন্য তারা নিয়ম অনুযায়ি টাকাও নিয়েছে। এখন প্রভাব বিস্তার করে তারা অবৈধভাবে সরকারি জায়গা দখল করছে।“
আরেক ব্যবসায়ী আব্দুল গফুর মিলন বলেন, “এর আগেও তারা জায়গা দখল করার চেষ্টা করেছিল। আমরা স্থানীয় জনগণের পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলাম। এর প্রেক্ষিতে শেরপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেখানে ফায়ার হাইড্রেন্ড তৈরি করার কথা বলেছিলেন। কিন্তু দেশের বর্তমান অবস্থার সুযোগ নিয়ে কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ওই জায়গায় স্থাপনা তৈরি করছে।”
সরকারের কাছ থেকে টাকা পাওয়ার কথা স্বীকার করে অবৈধভাবে স্থাপনা নিমার্ণকারী হাফিজুর রহমান বলেন, “আমরা জায়গা ও স্থাপনার জন্য সরকারের কাছ থেকে টাকা পেয়েছি। যেহেতু সরকার কিছু জায়গা ফাঁকা রেখেছে, আমরা সেটা ব্যবহার করছি। সরকার চাইলে আমরা চলে যাব।
এ বিষয়ে বাসস্ট্যান্ড ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হিরু বলেন, “আমি এখন পর্যন্ত সরকারের কাছ থেকে কোন টাকা পাইনি। তাছাড়া এখন আমি আমার জায়গায় ঘর তৈরি করছি।” এদিকে সরকারি জায়গা দখল করার কোন সুযোগ নেই বলে দাবী করে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুমন জিহাদী বলেন, শহরের স্থানীয়
বাসস্ট্যান্ড এলাকার ওই জায়গাটি দখলমুক্ত করে সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীর সাথে কথা হয়েছে। অবিলম্বে তা কার্যকরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।