গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার সাঘাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট এবং তার ভাই সুজাউদদৌলা সুজার চর দখল অপকর্মের প্রতিবাদে সাঘাটা উপজেলা পরিষদ চত্বরে ২৭ আগষ্ট মঙ্গলবার দুপুরে এ মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়েছে।
সাঘাটা উপজেলা বাসীর অয়োজনে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন অবসর প্রাপ্ত বিডিআর সদস্য আলমগীর হোসেন, সাঘাটা ইউপি সদস্য গোলাম ব্যাপারি, সাবেক মেম্বার সফর আলী, জাহিদ হোসেন, জুয়েল রানা, সোহাগ মিয়া প্রমুখ।
বক্তরা বলেন, জুলাই মাসে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সন্ত্রাসী দিয়ে ঢাকা ও গাইবান্ধায় ছাত্রদের উপর হামলা ও মুখে কাপর বেধে নিষিদ্ধ অস্ত্র দিয়ে ছাত্র হত্যায় সক্রিয় জড়িত ছিলেন সাঘাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন সুইট এবং তার ভাই সুজাউদদৌলা সুজা। তারা দুই ভাই অবৈধ পথে জিরো থেকে হিরো । তারা শত শত কোটি টাকার মালিক।
সম্পদ রক্ষায় সুইট-সুজা কখনো জাতীয় পার্টি আবার বর্তমান সময়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে ব্যাপক শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। তার নিজস্ব গুন্ডাবাহিনীর সদস্য প্রায় ২০০জন। তাদের অত্যাচারে পুরো উপজেলাবাসী অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। ভয়ে কেউ তাদের অপকর্ম নিয়ে কথা বলতে পারে না। কথা বললেই তাদের নিজস্ব আদালতে তুলে নেয়া হয়। সেখানে চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন। সাবেক ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাঘাটা-ফুলছড়ির সাবেক সাংসদ মাহমুদ হাসান রিপন তার ক্ষমতার প্রধান উৎস। তার সেল্টারেই দুই ভাই তাদের নিজস্ব বলয় তৈরি করেছেন। সম্প্রতি আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর দেশ থেকে দলটির নেতাকর্মীরা প্রায় বিলুপ্ত হলেও সাঘাটার ওদের দাপট বিন্দুমাত্র কমেনি।
বক্তারা অভিযোগ করেন, যমুনা নদী বেষ্টিত ২০ টি চর দখল করে প্রতিদিন অবৈধভাবে প্রায় ১০ লাখ টাকার বালি উত্তোলন করে প্রকাশ্যে বিক্রি করছে। নদীর কিনারায় বালি উত্তোলন এবং লোড-আনলোড করার ফলে বহু ফসলি জমি ভেঙ্গে নদী গর্বে চলে গেছে। ক্ষতির শিকার এলাকাবাসী এসব মুখবুজে সহ্য করে যাচ্ছে। প্রশাসনকে বলে এক যুগেও কোন সমাধান পায়নি কেউ। যদি এই দুই সন্ত্রাসী আইনের আওতায় না আনা হয় তাহলে দেশের এই স্বাধীনতার ও ছাত্রের প্রাণ বিসর্জন বৃথা যাবে।
মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, সরকারি ভাবে ভুমি দখল আইনে উপজেলা ভুমি কর্মকর্তা এদের নামে মামলা দিয়ে গ্রেফতার না করা করলে আগামীতে কঠোর আন্দোলন করা হবে ।