সাম্প্রতিক ভারি বর্ষায় ডুমুরিয়ার বিভিন্ন বিলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। ডুমুরিয়ার জলাবদ্ধতা নিরশনে বিল ডাকাতিয়া, খলশী, মির্জাপুর, কাটাখালি বিল-সহ বিভিন্ন বিলের পানি নিষ্কাশনের জন্য জনপ্রতিনিধি,উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তারা শোলমারী স্লুইস গেট পরিদর্শনে যান।
গতকাল (২৪ আগস্ট) সকালে ডুমুরিয়া উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক মোল্ল্যা মোশাররফ হোসেন মফিজের উদ্যোগে উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তারা শোলমারী ১৮-ভেন্ট স্লুইস গেট পরিদর্শনে গেলে জলাবদ্ধ এলাকাবাসীরা বলেন,বিল ডাকাতিয়া সহ ডুমুরিয়ার আশ-পাশের সকল বিলের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ শোলমারী স্লুইস গেট। গতবছর অক্টোবর মাসে বিল ডাকাতিয়া অঞ্চল তলিয়ে গেলে জনপ্রতিনিধি, উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে স্বেচ্ছাশ্রমে পলি অপসারণ করা হয়। তারপর আবারও শোলমারী গেটের সামনে নদীর পলি জমে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা আবারও অচল হয়ে পড়ায় বিলগুলোতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধ এলাকাবাসীরা শোলমারী গেটের মুখে জমা পলি অপসারণের দাবি জানান।
এ প্রসঙ্গে খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আতিকুর রহমান বলেন, শোলমারী গেটের মুখে পলি জমার ফলে ঠিকমতো পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। পরিস্থিতি দেখে শুক্রবার থেকে স্কেভেটর দিয়ে পলি অপসারণ কাজ শুরু করেছি। শনিবার থেকে ৪টি উচ্চ-ক্ষমতার সেচ পাম্প লাগিয়ে গেটের ভেতরের পানি বাইরে ফেলা হবে। তখন ওই পানির ফ্লোতে পলিও অপসারণ হবে।
বিএনপি নেতা মোল্যা মোশাররফ হোসেন মফিজ বলেন, অবিলম্বে সমগ্র ডুমুরিয়ার জলনিষ্কাশনে আমরা স্বেচ্ছাশ্রমে গেটের সামনে থেকে পলি অপসারণ করবো। বিল ডাকাতিয়া অঞ্চলের রংপুর ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সমরেশ মন্ডল বলেন,এখনি জরুরি ব্যবস্থা নিতে পারলে আমাদের শেষ রক্ষা হবে। ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে পলি অপসারণ কাজ শুরু হয়েছে। শনিবার উচ্চক্ষমতার ৪টি সেচ পাম্প চালু হলে পরিস্থির উন্নতি ঘটবে।