রংপুরের মিঠাপুকুরে মোবাইল চুরির অপবাদে রবিউল ইসলাম (২৮) নামে এক যুবককে তুলে নিয়ে ঘরের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক মুদি দোকানীর বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার লতিবপুর ইউনিয়ের জায়গীরহাটে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বুধবার (২১আগস্ট) মিঠাপুকুর থাকায় অভিযুক্ত মুদি দোকানীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীর স্ত্রী সিমা বেগম। অভিযুক্ত মুদি দোকানী রাকিব হাসান লতিবপুর ইউনিয়নের নিশ্চিতপুর গ্রামের নূর-বাদশা মিয়ার ছেলে। ভুক্তভোগী যুবক রবিউল ইসলাম একই এলাকার শাহাদাত হোসেনের ছেলে।
রবিউল জানায়, এক মাস থেকে তিনি রাকিব হাসানের মুদি দোকানে কাজ করেন। মঙ্গলবার ২১ আগস্ট) সন্ধ্যায় সে দোকানে আসলে সন্দেহজনকভাবে দোকান থেকে বের করে নিয়ে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে রাকিব তাকে চড়-থাপ্পড় মারে। একপর্যায়ে তাকে জোর করে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে কাফ্রিখাল ইউনিয়নের একটি মাছের খামারে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে দেখতে পায় আরো ৭/৮ জন যুবক হাতে লাঠিশোডা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সে কিছু বুঝে ওঠার আগেই সকলে মিলে খামারের একটি ঘরের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক পিটিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে স্থান ত্যাগ করেন।পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিউল ইসলাম বলেন, রাকিব তার মোবাইল চুরির অপবাদে আমাকে ভাড়াটে লোক দিয়ে পিটিয়েছে। পরে রাকিব আমাকেও মারে। অথচ আমি তার মোবাইল চুরি করিনি। আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে এভাবে মারধর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর স্ত্রী বলেন, আমরা গরীব মানুষ। আমার স্বামী রাজমিস্ত্রি কাজের পাশাপাশি দোকানে কাজ করে যে টাকা আয় করে তা দিয়ে আমাদের পরিবার চলে। তার বিরুদ্ধে চুরির মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মারধর করা হয়েছে। আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এই ঘটনার ন্যায্য বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত রাকিব হাসানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
মিঠাপুকুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওয়াহেদুজ্জান বলেন, আহত অবস্থায় এক যুবকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে জখমের চিহ্ন রয়েছে।
মিঠাপুকুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি।দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে