গত কয়েক দিনের একটানা বৃষ্টির কারণে পানিতে তলিয়ে গেছে ফসলের মাঠ। কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ধান সহ বিভিন্ন ফসল এখন বৃষ্টির পানিতে নিমজ্জিত। উপজেলা ১৩ টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এক ই চিত্র দেখা যাচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা অনেক আশা ভরসা করে আউশ ধান বপন করেছিল। এখন ধান কাটার সময় হয়েছে ধানের ফলন ভালো হয়েছিল ধান পেকে সোনালী কালার হয়েছে। যখনই ধান কাটার সময় হয়েছে তখনই একটানা বৃষ্টির পানিতে সমস্ত ধান এখন পানিতে তলিয়ে গেছে।
অতি বৃষ্টির কারণে ধানসহ বিভিন্ন সবজি ও মাছের ঘের সবকিছু পানিতে তলিয়ে গেছে। ধান কাটার উপযুক্ত সময়ে ধান কাটার কামলা না পাওয়ার কারণে সঠিক সময় কৃষকরা তাদের ধান ঘরে তুলতে পারেননি। তার জন্য কৃষকের পাকা ধান এখন পানির নিচে তলিয়ে গেছে অনেক ধান খেতে দেখা গেছে ধানের ছড়া পানিতে ছুঁই ছুঁই অবস্থান করছে। আবার অনেক কৃষক ধান কেটে বাড়িতে নিয়ে ধান ছড়ার পর্যাপ্ত জায়গা না থাকার কারণে ধানে গাছ গজিয়ে গেছে। রোদ না থাকার কারণে চাষিরা যে ধান বাড়িতে নিয়ে গেছেন সেই ধান শুকাতে পারেন নাই, যার জন্য ধানের চারা গজিয়ে গেছে। অতি বৃষ্টির কারণে সবজির ক্ষেত একেবারে শেষ হয়ে গেছে। যার কারনে বাজারে সবজির দাম অতি চড়া। দিনরাত অনবরত বৃষ্টি হওয়ার কারণে এবং বৃষ্টির পানি সরানোর জন্য কোন সুব্যবস্থা না থাকার কারণে পানি আটকে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
পুকুর ও মাছের ঘেরের পাড় পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে অনেকের মাছ পুকুর থেকে বের হয়ে গেছে , অনেকের পুকুরপাড় পানিতে ছুঁই ছুঁই অবস্থান বিরাজ করছে । মাছ চাষিরা তাদের মাছ রক্ষার জন্য পুকুর বা মাছের ঘেরের চতুর্দিক দিয়ে জাল দিয়ে মাছ আটকানোর চেষ্টা করছে কিন্তু বৃষ্টির পানি অবিরত হওয়ার কারণে পুকুরপাড় পাড় ভেঙ্গে গেছে ।কোন ভাবেই রক্ষা করা যাচ্ছে না। চান্দিনা উপজেলা মাছ চাষের জন্য একটি প্রসিদ্ধ স্থান। এখানে রয়েছে হাজার হাজার মাছ চাষী। তাদের উৎপাদিত মাছ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে থাকে। মাছ চাষীদের মাছ বের হয়ে যাওয়ার কারণে তারা অর্থনৈতিকভাবে বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।