কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে নোয়াখালীর বেশিরভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ৯টি উপজেলার সবকটিতেই বসতঘর, গ্রামীণ সড়ক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। এতে লোকজনের মধ্যে বন্যার আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জের দক্ষিনাঞ্চল সহ ছোট ফেনী কুলবর্তি উপকূলীয় বিভিন্ন অঞ্চলে গত কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টি ও বাতাসে প্লাবিত ও ঘর বাড়ী বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘরবাড়ী বাতাসে উপড়ে যাওয়ায় গৃহহীন কয়েকহাজার মানুষ।
অন্যদিকে প্রচন্ড বাতাসে গাছ পালা ভেঙ্গে বিদ্যুতের খুঁটি ও তার ছিঁড়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। উপজেলার অধিকাংস অঞ্চল/গ্রাম বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এদিকে টানা বর্ষণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারণে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জানান, নোয়াখালীর সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পানি নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এছাড়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য উপজেলা পর্যায়ের সব মাধ্যমিক, প্রাথমিক প্রতিষ্ঠান ও মাদরাসাসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানদের বলা হয়েছে।
প্রবল বৃষ্টি কারণে চরএলাহীর দোকানঘর এলাকার এক স্থানীয় সচেতন ব্যাক্তি জানান, আমাদের আশপাশের গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারের পানি বেড়ে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৬-৭ফুট উপরে উঠে এসেছে।
এসময় জোয়ারে প্রায় কয়েকহাজার একর ফসলের জমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি এক শতাধিক মৎস্য খামার পানিতে ভেসে গেছে।
কােম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্থানীয় বাসিন্দারা জানান একটানা প্রবল বৃষ্টি কারণে ও হঠাৎ করে উঠে আসা জোয়ারের পানিতে ইউনিয়নের দক্ষিনাঞ্চলের অধিকাংশ এলাকা তলিয়ে গেছে। এত করে প্রায় শতকোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছে স্থানীয়রা।
উপজেলার দক্ষিনাঞ্চল ছাড়াও চরহাজারী নদী পূর্ব এলাকার অনেক গুলো ঘর বাড়ী বিধ্বস্ত হয়েছে এবং চরপার্বতীর মৌলভীবাজার থেকে উত্তর পাসের বিভিন্ন এলাকার অনেক গাছ ভেঙ্গে বৈদ্যুতিক অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে।
এদিকে খাল উদ্ধার ও পানি নিষ্কাশনে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চান স্থানীয়রা।