নড়াইলের লোহাগড়া পৌর শহরের কুন্দশী এলাকার মালোপাড়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ১০ শতক জমি জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনার পর ওই ভুক্তভোগী লোহাগড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিকে ভুক্তভোগীর এহেন দু:সময়ে তার পাশে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় বিএনপি, যুবদলের নেতৃবৃন্দ।
থানায়, দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, লোহাগড়া পৌরসভার কুন্দশী এলাকার মৃত জিতেন্দ্রনাথ সরকারের ছেলে উত্তম সরকার ও তার ভাই পৈতৃক সূত্রে ৮৬ নং কুন্দশী মৌজায় ১৯৭ নং খতিয়ানে আরএস ২৮৩ দাগে ৪০ শতক জমি ভোগদখল করে আসছিল।
অভিযোগ সূত্রে আরও জানা গেছে , গত ১৪ আগষ্ট সকাল ১০টার দিকে লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সলিমুল্লাহ পাপ্পু'র নেতৃত্বে ১২০/১৫০ জনের একদল দূর্বৃত্ত অতর্কিতভাবে উত্তম সরকারের ৪০ শতক জমির মধ্যে ১০ শতক জমি দখল করে সেখানে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছেন।
ভুক্তভুগী উত্তম সরকার কান্না জড়িত কন্ঠে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, আমার পৈত্রিক সম্পত্তিতে থাকা টিউবওয়েল, মুল্যবান গাছ কেটে,ব্যাবহৃত বাথরুম, ঘরবাড়ি ভেঙ্গে আমার জমি দখল করে নিয়েছে ঐ আওয়ামীলীগ নেতা।
'জমি জবর দখলের সময় দূর্বৃত্তদের বাঁধা দিলে তারা, অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে জীবননাশের হুমকি দেয়। এ ঘটনায় তিনি ১৬ আগষ্ট স্হানীয় থানায় একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন এবং তিনি সৃষ্ট ঘটনার বিচার চেয়েছেন'।
এদিকে লোহাগড়ার মালোপাড়ায় একজন আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি জবর দখলের ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে লোহাগড়া উপজেলা যুবদলের সভাপতি খান মাহমুদ আলম, শ্রমিকদল নেতা জহির শেখসহ অন্যরা ভুক্তভোগীর পাশে দাঁড়িয়েছে এবং তার দখল হওয়া জমি উদ্ধারের জন্য সম্ভাব্য সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে আলাপকালে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সলিমুল্লাহ পাপ্পু বলেন- আমার বিরুদ্ধে হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি দখলের যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পুর্ন মিথ্যা।
বরং আমার ৩.৫ শতক জমি দীর্ঘদিন ধরে তারা জবর দখল করে ভোগদখল করে রেখেছে।
এ বিষয়ে কথা হয় লোহাগড়া থানার এসআই ও মল্লিকপুর ইউনিয়নের পুলিশের বিট অফিসার সৈয়দ আলীর সাথে। তিনি বলেন, 'অভিযোগ পাওয়ার পর শনিবার (১৭ আগষ্ট) ঘটনাস্হল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।