শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে ঢাকায় একটি কলেজের কর্মরত এক শিক্ষকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘর, সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলা ও জানালার কাচ ভাঙচুর এবং গাছপালা কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক সাবেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে।
গতকাল (১০ আগষ্ট) ভেদরগঞ্জ উপজেলার মহিষার ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড সাজানপুর গ্রামে ঢাকায় কর্মরত শিক্ষক মাসুম বিল্লাহ ঢালীর বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক মো: মাসুম ঢালীর পরিবারের সঙ্গে ভেদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হানিফ মাহমুদের সঙ্গে জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে গতকাল দুপুরে শিক্ষক মাসুম বিল্লার বাড়িতে হামলা চালায় এবং বাড়ির দেয়াল ভেঙে ফেলে ও বসতবাড়ি সহ বিল্ডিংয়ের জানালার কাচ ভাঙচুর করে। পাশাপাশি ওই শিক্ষকের বৃদ্ধা মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। দুদিন ধরে ওই শিক্ষকের মা নাজমা মনোয়ার অন্যের বাড়ীতে আশ্রয় নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে শিক্ষক মাসুম বিল্লার মা নাজমা মনোয়ার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমি এই জমিতে বসবাস করে আসসি। অনেক দিন ধরে জমিসংক্রান্ত জের দেখিয়ে আমাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে যাচ্ছেন। একাধিকবার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি সমাধান করেছেন। গতকাল দুপুরে তিনি ও তার ছেলেসহ কয়েকজনকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। এ বিষয়ে আমি এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। আমি একজন শিক্ষকের মা হয়ে আজ দুদিন ধরে অন্যের বাড়ীতে আশ্রয় নিয়েছি। আমি সুস্থ তদন্তের মাধ্যমে হানিফ মাহমুদ ও তার ছেলের বিচার দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা হানিফ মাহমুদ বলেন, আমার জমিতে তারা ঘর উঠিয়েছে। আমার দল এখন ক্ষমতায় তাই আমি তাদের বের করে দিসি। এই জমি আমার প্রশাসন না আসা পর্যন্ত তাদের বাড়ীতে উঠতে দিবো না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে আমি কিছু করতে পারি নি।
এবিষয়ে শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ শফিকুর রহমান কিরন বলেন, শুনেছি এমন কিছু ব্যক্তি বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির স্লোগান তুলে হামলার পরিকল্পনা করতেছে। সাবধান করে দিতে চাই, যেখানে ছিলেন, সেখানে থাকেন। কোনো অন্যায়কে আমরা প্রশ্রয় দেব না। আপনারা যারা চাঁদা বাজির স্বপ্ন দেখতেছেন, সাবধান করে দিতে চাই। শরীয়তপুরের মাটিতে চাঁদাবাজির জায়গা নেই। সুতরাং দলের নেতাকর্মীরা যদি অন্যায় নির্যাতন, চাঁদাবাজি ও সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করে তাহলে বুঝে নিবেন আমরা খারাপ। আপনারা কেউ আইনকানুন নিজের হাতে তুলে নিবেন না। তাহলে কোনো সহযোগিতা আমাদের কাছে পাবেন না।