কোটা সংস্কারের নামে মাদারীপুরে সার্বিকের ৪২টি বাস, পেট্রল পাম্পসহ পৌর মুক্তিযোদ্ধা অডিটরিয়াম, আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়, পুলিশ ফাঁড়ি, পরিবহন কাউন্টার, পুলিশ বক্স, পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি, ডাল গবেষণা কেন্দ্র, যুব উন্নয়নসহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলেছে নাশকতাকারীরা।
এসব ধংসযজ্ঞ শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে পরিদর্শনে আসেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পাক-হানাদার বাহিনী এদেশীয় দোসর, রাজাকার, আল বদর, আল শামস, জামায়াত শিবির। তারা বাংলাদেশে কি তাণ্ডব চালিয়েছিল। আজকে সেই তান্ডব দেখেই সেই কথাই মনে পড়েছে। আজকের সার্বিক পেট্রোল পাম্প, অর্ধশত সার্বিক বাস যেভাবে পোড়ানো হয়েছে। এটি কখনোই স্বাভাবিক মানুষ এভাবে পোড়াতে পারে না। এটা একটি প্রতিহিংসার চিহ্ন এতে কোন সন্দেহ নেই।
তিনি আরো বলেন, ২০১৩-১৪ সালে শাজাহান খান জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আগুন সন্ত্রাস বিরুদ্ধে যেভাবে রুখে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তার নেতৃত্বে আজকে এই শ্রমিক সমাজ, কর্মজীবী পেশাজীবী, মুক্তিযুদ্ধাসহ সাধারণ মানুষের যেভাবে রুখে দাঁড়িয়েছিল। তার এই প্রতিশোধ নিয়েছে তা যে কোন লোক দেখলেই বুঝবে। তার এই প্রতিশোধ যারা নিয়েছে তাদের অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে খুঁজে বের করে অবশ্যই তাদেরকে কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে।
এসময় উপস্থিত স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আসিবুর রহমান খান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ বাশার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সেলিম, মাদারীপুর চেম্বার্স অফ কমার্সের সভাপতি হাফিজুর রহমান যাচ্চু সহ অন্যরা।