নীলফামারীতে অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়ে ভ্যানচালক আব্দুস সামাদ আব্দুল্লাহ (৬০) ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় চুরির মালামাল উদ্ধারসহ চার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চুরি ও ছিনতাই মামলাও রয়েছে। সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে জেলা পুলিশের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মোকবুল হোসেন।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন, রফিকুল ইসলাম (২৮), ফারুক হোসেন(৩৫) বাবু মিয়া (৩০) ও মফিজুল ইসলাম ওরফে হাজি। এসময় হত্যার কাজে ব্যবহৃত চেতনানাশক ওষুধসহ চুরি যাওয়া অটোচার্জার ভ্যান উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, নীলফামারী সদরের নিত্যানন্দী বর্মতল গ্রামের মৃত খট্টু মাহমুদের ছেলে আব্দুল্লাহ গত ৮ জুলাই অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়েন। অতিরিক্ত ভাড়ার প্রলোভন দেখিয়ে ডোমারের ধরণীগঞ্জ বাজারে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে আসামি বাবু মিয়া ও মফিজুল ইসলাম জুসের মাধ্যমে চেতনানাশক ওষুধ খাওয়ায় তাকে। এরপর তিনি জ্ঞান হারালে আসামিরা কলমদার ব্রিজের পশ্চিম পাশে শ্মশান ঘরে ফেলে ভ্যানটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে আব্দুল্লাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (রমেক) নিয়ে যায়, পরে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় সদর থানার ওসি বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর, আমিরুল ইসলাম ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ওসি তানভিরুল ইসলামসহ অভিযান পরিচালনা করে ওই ক্লুলেস মামলার আসামি ও চার্জার ভ্যান ৭২ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন, আজ বিকালে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে নীলফামারী জেলা কারাগারে পাঠানো হবে। তাদের রিমান্ড আবেদন করা হবে বলে জানান তিনি।