× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ঝিনাইদহ-২ আসনের সংসদ কাবিটা প্রকল্পের অনুকূলে অর্থ লোপাট

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

১৪ জুলাই ২০২৪, ১৬:২৮ পিএম

ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার প্রকল্প ২০২৩-২৪ অর্থবছরে (কাবিটা) কর্মসূচীর আওতায় ৩য় পর্যায়ে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, ঝিনাইদহ -২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্যের প্রাপ্ত বরাদ্দ হতে সদর উপজেলার ৪১টি প্রকল্পের অনুকূলে ৬০ লাখ ৮৫ হাজার ১৯ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও উপজেলায় সর্বোচ্চ ৪০ ভাগ কাজ হয়েছে। এমপি বরাদ্দের বাকী ৬০ ভাগ অর্থের কাজের কাজ কিছুই হয়নি। অথচ জুন মাসে কাগজে কলমে সকল পিআইসির কাজ সম্পন্ন হয়েছে মর্মে অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে।

প্রকল্প এলাকায় তদারকি না থাকার সুযোগে আংশিক কিংবা কাজ না করেই প্রকল্পের টাকা তুলে নিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, অধিকাংশ প্রকল্পে তেমন কোনো কাজ করা হয়নি। নামমাত্র কাজ করে কাগজ-কলমে শতভাগ কাজ দেখিয়ে এসব প্রকল্পের অনুকূলে বরাদ্দ করা অর্থ লোপাট করা হয়েছে। 

প্রকল্প অনুযায়ী খোঁজ নিয়ে জানা গেছে পোড়াহাটি ইউনিয়নের কাবিটা প্রকল্পে বাসুদেবপুর হায়দারের মটর হতে নিজাম বিশ্বাসের পুকুরের শেষ মাথা পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের কাজে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

বরাদ্দকৃত অর্থের ১ম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা তুলে নিলেও আজ পযর্ন্ত রাস্তাটিতে এক ট্রলি বা এক কোঁদাল মাটি দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। 

কাজ না করেই বিল উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প সভাপতি শাহজাহান হোসেন বলেন,পিআইও অফিসে কথা হয়েছে শুক্রবারের মধ্যে পুরো কাজটি সম্পন্ন করে দিবো। 

একই ইউনিয়নের হিরাডাঙ্গা হাশমতের বাড়ি হতে রুপদা জুলুর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা ম্যাকাডামকরণে নামমাত্র আংশিক কাজ করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন উক্ত প্রকল্পের সভাপতি সুরাপাড়া গ্রামের মনিরুল জমিদার। 

স্থানীয়দের দাবি, সরকার ঠিকই বরাদ্দ দিচ্ছে কিন্তু মাঠ পর্যায়ে যথাযথ তদারকির অভাবে জনপ্রতিনিধিরা কাজ না করেই টাকা পকেটস্থ করছে। 

অনুসন্ধানে জানা যায়,ওই দুটি প্রকল্পের সভাপতি হিসাবে শাহজাহান হোসেন ও মনিরুল জমিদারের নাম থাকলেও এ প্রকল্পের সকল কাজ ইউপি চেয়ারম্যান হিরনের তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হচ্ছে। 

সুরাট ইউনিয়নের কমিউনিটি হাসপাতাল হতে জামাল মন্ডলের বাড়ি পর্যন্ত নামমাত্র মাটি ছিটিয়ে ১ম কিস্তির টাকা তুলে নিয়েছেন উক্ত প্রকল্পের সভাপতি কে.এম হাসান। তিনি নিজেকে ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পরিচয় দিয়ে বলেন, কাজগুলো দিয়েছে দাদা ভাই। আপনি সুরাট ইউনিয়নে এমপির প্রতিনিধি জিয়ার সাথে কথা বলেন। 

একই ইউনিয়নের পাকা রাস্তা হতে তৈয়াজের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার প্রকল্পটি দেখতে গেলে প্রকল্প কমিটির সভাপতি মিল্টন শিকদার এ প্রতিবেদককে বলেন, আপনি এমপির প্রতিনিধি জিয়ার সাথে কথা বলেন। আমি প্রকল্পটি সম্পর্কে কিছুই জানি না অথচ আমার নামে প্রকল্প দেখিয়ে স্বাক্ষর করে নেওয়া হয়েছে। 

এছাড়াও হলিধানী ইউনিয়নের একটি রাস্তা সংস্কার কাজে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচী (ইজিপিপি) এর আওতায় সম্পন্ন হওয়া রাস্তায় পুনরায় ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। 

এ সকল প্রকল্পের বিষয়ে আজাদ নামে সংসদ সদস্যের এক প্রতিনিধির পক্ষ থেকে এই প্রতিবেদককে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কোন সংবাদ না ছাপানোর জন্য বলা হয়। 

এসব অভিযোগের ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিউটন বাইন সাংবাদিকদের বলেন, খোঁজখবর নিয়ে যে সমস্ত প্রকল্পসমূহে কাজ হয়নি সেখানে কাজ করিয়ে দেওয়া হবে। 

এ সকল প্রকল্পে অনিয়ম ও টাকা তুলে নেয়ার বিষয়ে সরেজমিনে বক্তব্য নিতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া আক্তার চৌধুরীর কার্যালয়ে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে মুঠোফোনে  যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। 

সদর উপজেলায় বরাদ্দ দেয়া সংসদ সদস্য নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুলের প্রায়ই অধিকাংশ প্রকল্পের-ই একই অবস্থা। নামমাত্র কাজ করে এই প্রকল্প গুলোর বরাদ্দ কিভাবে ছাড় দেয়া হয়েছে সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন মহল।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.