× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

কটিয়াদীতে স্বচ্ছ পানির প্রাচীন ইন্দারা বিলুপ্তির পথে

ছাইদুর রহমান নাঈম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

১২ জুলাই ২০২৪, ১২:১৩ পিএম । আপডেটঃ ১২ জুলাই ২০২৪, ১৬:১৬ পিএম

কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে বেশকিছু বড় ইন্দারা রয়েছে। বহু বছরের পুরনো এই ইন্দারা গুলো এখন আর ব্যাবহার হয়না৷ একসময় সুপেয় পানির একমাত্র মাধ্যম ছিলো এই কুয়া৷ এর প্রকৃত নাম হলো ইন্দ্রাগার।

সংস্কৃত শব্দটি ইন্দ্র ও আগার থেকে এসেছে। ইন্দ্র অর্থ বৃহৎ আগার অর্থ কূপ, অর্থাৎ ইন্দ্রাগার শব্দের অর্থ হলো বৃহৎ কূপ।

 প্রাচীন ঐতিহ্যের কুয়া বা ইন্দারা এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্রামের বধুরা কলসি কাকে নিয়ে কুয়ার পানি তুলে ঘরে নিয়ে যেত । গ্রামের মানুষ হাল গৃহস্থি,জমির কাজ শেষ করে এসে একসঙ্গে কুয়ার পানি দিয়ে গোসল করত। এখন সেই দৃশ্য আর চোখে পড়েনা। কারণ সময়ের সাথে সাথে সেই দৃশ্যপট আমাদের কাছে অতীত। 

প্রায় ৯০ থেকে ১শ বছর পূর্বে গ্রামে-গঞ্জে পানের সুপেয় পানি পান করার জন্য এই কুয়া তৈরি করা হয়েছিল। সংস্কারের অভাবে প্রচীন আমলের ঐতিহ্যের কুয়া বা ইন্দারাগুলো এখন বিলুপ্তির পথে।

কটিয়াদী উপজেলার কয়েকটি স্থানে ইন্দারা বা কুয়া গুলো এখনো রয়েছে। কিন্তু এগুলো ব্যাবহার হয়না এখন। আঞ্চলিক ভাষায় এই কুয়াকে বলা হয় ইন্দারা। 

সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,আচমিতা বাজার সংলগ্ন ভিটাদিয়া গ্রামে রাস্তার সাথে একটি বড় কুয়া রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, এটি বৃটিশ আমলের তৈরি৷ বছর দুয়েক আগেও পানি তুলা হতো কিন্তু এখন ব্যাবহার হয়না।

জালালপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড মরহুম আব্দুল হাই মেম্বারের বাড়ির পিছনে প্রাচীন বড় একটি কুপ ছিলো৷ এখনো এর চিহ্ন রয়েছে। মসূয়া ইউনিয়নে বিশ্ব নন্দিত অস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়িতে বড় একটি কুপ রয়েছে৷ জালালপুর বৃটিশ নীল চুল্লীর পাশেই ছিলো বড় কুয়া। বর্তমানে এটিও ধ্বংসের পথে। এছাড়াও উপজেলা জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে পুরাতন এসব কুয়া বা ইন্দারা৷ 

আচমিতা ভিটাদিয়া গ্রামের প্রবীন ব্যাক্তি আব্দুল আলী (৯৫) বলেন, এই গ্রামের কুয়ার বয়স কতো তা আমিও বলতে পারবো না৷ আমার বাপ দাদারাও বলতে পারেন নি৷ ছোট থেকে তারাও নাকি এমনি দেখে আসছে৷ আমরা গোসল করতাম৷ পানি পান করতাম৷ গরমে পানি থাকতো শীতল৷ অনেক শান্তি পাইতাম গোসল করে৷' 

জালালপুর চর ঝাকালিয়া গ্রামের বাসিন্দা তারা মিয়া বলেন, আমাদের গ্রামে ইন্দারা ছিলো অনেক বড়৷ অনেক দূরের লোকজন এসে পানি নিতো, গোসল করতো৷ ছোট সময় দেখছি কুয়ার মধ্যে পানি ছিলো৷ এটি বৃটিশ আমলের তৈরি বলে শুনছি৷ এখনো 

আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে এসব ঐতিহ্যের কুয়া  বা ইন্দারা। পর্যায়ক্রমে মানুষ শিক্ষিত ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের যুগে নলকুপ বা মেশিন বসিয়ে মাটির গভীর থেকে পানি উত্তোলন করে এখন চাহিদা মেটাচ্ছে।  

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । সম্পাদক: 01703-137775 । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.