ভোলার মেঘনা নদীতে ৫ শ্রমিক নিয়ে ডুবে যাওয়া ড্রেজার আফসানা-১ এর কেবিন থেকে মো. আরিফুর ইসলাম ও নুরে আলম নামের দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও সন্ধান মিলছে না ৩ শ্রমিকের।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ভোররাত ৩টার দিকে মালিকপক্ষের ভাড়াটে ডুবুরি টিম ওই দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে।
ইলিশা নৌ-থানার ইন্সপেক্টর বিদ্যুৎ কুমার বড়ুয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার (৮ জুলাই) বিকেলে নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের যৌথ অভিযানে ডুবে যাওয়া ড্রেজারটির সন্ধান পাওয়া যায়।
উদ্ধার হওয়া মরদেহটি দু’টির মধ্যে একটি নুরে আলমের অপরটি আরিফুর ইসলামের। নুরে আলম ডুবে যাওয়া ড্রেজারটির মালিক ছিলেন। ডুবুরি টিম ড্রেজারটির কেবিন থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে। তবে এখনো নিখোঁজ ৩ শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধারে বেসরকারি ডুবুরি টিম কাজ করে যাচ্ছে।
ভোলা ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মো. লিটন বলেন, সোমবার বিকেলে ফায়ার সার্ভিস, নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডের যৌথ অভিযানে ডুবে যাওয়া ড্রেজারটির অবস্থান শনাক্ত করা হয়। আজ সকাল ৮টা থেকে পুণরায় উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। এর আগেই মালিকপক্ষের ভাড়াটে ডুবুরি টিম ভোররাতে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এখন ভাড়াটে ডুবুরি টিম ও সরকারি ডুবুরি টিম যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। বাকি ৩ জনের মরদেহ খোঁজা হচ্ছে।
কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়, ড্রেজারটির দুটি কেবিন ভিতর থেকে আটকানো। মেঘনায় পানির তীব্র স্রোত। যার কারণে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করতে সময় লাগছে। ডুবুরি টিম চেষ্টা করছে ড্রেজারটি নদীর তলদেশ থেকে ভাসমান অবস্থায় নিয়ে আসার জন্য।
এদিকে, নিখোঁজ শ্রমিকদের স্বজনরা ট্রলারযোগে ঘটনাস্থলে এসে জড়ো হয়ে আহাজারি করছেন। তারা নিখোঁজ শ্রমিকদের সন্ধানে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন।
ভোলা জেলা প্রশাসক মো. আরিফুজ্জামান জানান, নিখোঁজ শ্রমিকদের লাশ উদ্ধারে ডুবুরি টিম তৎপর রয়েছে। জেলা প্রশাসকের একটি টিম বিষয়টি মনিটরিং করছে।
উল্লেখ্য, গেল রোববার রাতে ভোলার মেঘনা নদীর গাজীপুর চর নামক এলাকা থেকে বালু উত্তোলনের সময় আফসানা-১ নামের ড্রেজারটি ৫ শ্রমিক নিয়ে ডুবে যায়। এখনো নিখোঁজ ৩ শ্রমিক হলেন— মো. হারুন (৫৫), সিয়াম আহমেদ (২৩) ও তানজিল আহমেদ (২৩)। তাদের সবার বাড়ি ভোলা সদর উপজেলার ৩নং পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের পাঙ্গাশিয়া গ্রামে।