× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা জামায়াত বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

কামড়ের পর রাসেল ভাইপার নিয়েই হাসপাতালে কৃষক

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি

০৮ জুলাই ২০২৪, ১৮:২৩ পিএম

সাপ থেকে বাচতে বাড়ির চারদিকে জাল দিয়ে বেড়া দেয়ার সময় সাপের কামড়ে দংশিত হয়েছেন মাদারীপুরের শিবচরের পদ্মার চরাঞ্চল চরজানাজাতের কৃষক মমিন শেখ। পরে তিনি ও তার ছেলে মিলে রাসেল ভাইপার সাপটিকে মেরে শিবচর হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি হয়েছেন।

একই রাতে স্থানীয় বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক যুবককে বিষধর সাপে দংশন করে। পুলিশের সহযোগিতায় আশংকাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হলে এন্টিভেনম দেয়ার পর এখন সুস্থ্য রয়েছেন। এরআগে গত সপ্তাহে একই ইউনিয়নের আরেক কৃষক সুলতান বেপারি একই সাপের কামড়ে দংশিত হয়ে হয়ে হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেন।

হাসপাতাল ও পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, বর্ষা মৌসুমে শিবচরের পদ্মা নদীর চরাঞ্চল চরজানাজাত ইউনিয়নে সাপের উপদ্রব বাড়ায় চর ২ নং ওয়ার্ডের আজিজ শেখের ছেলে মমিন শেখ বাড়ির চারদিক জাল দিয়ে বেড়া দেয়। রবিবার সন্ধ্যায় তিনি ওই বেড়া তল্লাশী দেয়ার সময় হাতে আঘাত অনুভব করে। এরপর তিনি সামনে একটি সাপ দেখতে পায়। তিনি তাৎক্ষনিকভাবে হাতে বাধন দেন। তারপর তার ছেলে ও সে মিলে সাপটিকে মেরে ফেলে । সাপটিকে নিয়ে সে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসে। চিকিৎসকরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে পর্যবেক্ষনে রেখেছেন। তার অবস্থা স্থিতিশীল।

অপরদিকে একই রাত আনুমানিক একটার দিন উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়নের চর শেখপুর গ্রামের শাহাবুদ্দিন হাওলাদারের ছেলে সজিব হাওলাদার স্থানীয় বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিল। রাস্তার পাশ থেকে তাকে একটি কিছুতে কামড় দিলে সে বুঝতে না পেরে বাড়ি চলে যায়। বাড়ি যাওয়ার পর তার অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে মাথা ঘুরে মাটিতে পড়ে যায় সজিব। পরে এলাকায় টহলরত পুলিশের সহায়তায় তাকে দ্রুত শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে পরিবারের লোকজন। চিকিৎসকরা বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষার পর তাকে এন্টিভেনম দেয়। এখন সে অনেকটাই সুস্থ্য রয়েছেন।

সাপে দংশিত মমিন শেখ বলেন, চরে সাপের উপদ্রব এবার অনেক বেশি তাই বাড়ির চারদিকে বেড়া দিচ্ছিলাম। এসময় সাপে কাটে। পরে হাতে বাধন দিয়ে সাপটিকে মেরে হাসপাতালে নিয়ে আসি। শরীরটা ব্যাথা মাথা ঘুরায়।

সাপে দংশিত সজিব হাওলাদার বলেন, কামড় দেয়ার পর প্রথমে আমি ভেবেছিলাম হয়ত পিপড়ায় কামড় দিয়েছে। বাড়ি যাওয়ার পর আমি খুব অসুস্থ্য হয়ে যাই। এক পর্যায়ে মাথা ঘুরে মাটিতে পড়ে গেলে পুলিশের সহযোগিতায় আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখানে আমাকে এন্টিভেনম দেয়ার পর আমি কিছুটা সুস্থ্য আছি।

কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ প্রিন্স বলেন, মমিন শেখকে আমরা পর্যবেক্ষনে রেখেছি। তবে রক্ত স্বাভাবিক থাকায় এখনো এন্টিভেনাম দেয়া হয়নি।

 সজিব হাওলাদার সম্পর্কে আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ ইব্রাহিম বলেন, মধ্যরাতে ওনাকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। ওনার অবস্থা খুব গুরুতর ছিল। মুখ দিয়ে লালা বের হচ্ছিল। রক্ত পরীক্ষা করে দ্রুত এন্টিভেনাম দেয়ার পর ওনার অবস্থা এখন ভাল ।


Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.