সিলেটের বিয়ানীবাজারে আশ্রয়কেন্দ্রের একটি কক্ষে জন্ম নেওয়া বানভাসি আফসানা বেগমের কন্যা সন্তানের নাম রাখা হয়েছে ‘বন্যা’। শুক্রবার (৫ জুলাই) বিয়ানীবাজার উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের বড়উদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া আফসানা বেগম ও কনি মিয়া দম্পতির কোল জুড়ে আসে ফুটফুটে কন্যা সন্তান।
এ খবর শোনে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঠানো উপহার নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী শামীম। পরে উপস্থিত সবার অনুরোধে তিনি শিশুটির নাম রাখেন, ‘আসফিয়া আক্তার বন্যা’।
আবেগাপ্লুত হয়ে আফসানার স্বামী কনু মিয়া বলেন, বন্যায় ঘরের ভেতরে পানি প্রবেশ করার কারণে কয়েকদিন থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে আছি। রাতে স্ত্রীর প্রসব ব্যথা অনুভব হলে বন্যার পানিতে সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় হাসপাতালে যাওয়া সম্ভব ছিল না। এছাড়া গভীর রাত হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করেও কোনও গাড়ির ব্যবস্থা করতে পারিনি পরে আশ্রয়কেন্দ্রে সন্তান জন্মগ্রহণ করে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেয়েটির নাম রেখে দেওয়ার জন্য অনেক খুশি হয়েছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী শামীম বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন। তাদের মধ্যে সন্তানসম্ভবা এক নারীও ছিলেন। আশ্রয়কেন্দ্রের একটি কক্ষে ওই প্রসূতির সন্তানের জন্ম দেন। এটা আমাদের জন্য আবেগের বিষয় হয়ে ওঠে। আমরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নতুন অতিথির জন্য উপহারসামগ্রী নিয়ে যাই। তখন দম্পতি ও উপস্থিত সবার অনুরোধে নবজাতকের একটি নাম রেখে দিয়েছি ‘আশফিয়া জান্নাত বন্যা’।
তিনি বলেন, মা ও নবজাতকের শারীরিক অবস্থা ভালো বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। নবজাতকসহ মা নিচু জায়গায় ছিলেন, তাদের ওপরের জায়গায় স্থানান্তর করা হয়েছে। নবজাতকের জন্য শিশু খাদ্য, বালিশ, কম্বল, জামা-কাপড় সবই প্রদান করা হয়েছে। নতুন অতিথির জন্য যা যা প্রয়োজন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবকিছু প্রদান করা হবে। স্থানীয় চেয়ারম্যানকেও তাদের প্রতি খেয়াল রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।