ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন ইতনা ইউনিয়নের বিট পুলিশ অফিসার এস আই সুজিত। 

ইমরান কাজী উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের পাংকারচর গ্রামের কাজী পাড়ার মৃত নজীর কাজীর ছেলে। ইমরান কাজীর বড় ভাই কাজী বশির আহমেদ সুপ্রিম কোর্টের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আহত ইমরান কাজী পুলিশের এস আই পদে কর্মরত। তিনি এর আগে পুলিশের আর ও পদে নিযুক্ত ছিলেন। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (৩ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে পারিবারের সদস্যর বিবাহের কথা বার্তা বলতে এলাকায় আসে। পথিমধ্যে পাংকারচর গ্রামের পাকার মাথা বটতলা নামক এলাকায় এলে প্রতিপক্ষের একদল দূর্বৃত্ত তাকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় ইমরান কাজীকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার বড় ভাই কাজী বশির আহমেদ। 

 জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ওই গ্রামে কাজী ইমরানের পরিবারের সাথে একই গ্রামের প্রতিপক্ষের সাথে সামাজিক কোন্দল চলে আসছে। সামাজিক কোন্দলের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা পুলিশের।

এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার এস আই (সেকেন্ড অফিসার) মো: খবির হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনাস্থলে যাওয়ার পথে আহত ইমরান কাজীর সাথে দেখা হয়। মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কুপিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আহতের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। ওই এলাকায় পুলিশের অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন রয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযোগ পেলে  তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে  আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।